মেয়র কামালের পদত্যাগপত্র স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ২০:০২

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল বৃহস্পতিবার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে। সোমবার মেয়র কামাল এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

কামাল জানান, পদত্যাগপত্র স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বরাবর পাঠিয়েছেন। মন্ত্রীর কাছে ‘রেজিস্ট্রি উইথ অ্যাকনলেজমেন্ট’ এর মাধ্যমে এই পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে।

পদত্যাগের পেছনে যুক্তি দিয়ে গিয়ে কামাল বলেন, আর্থিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ঠিকাদারদের বিল প্রদানের টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না। ফলে নগরবাসীও সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এর আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২২ দিন আগে মেয়র আহসান হাবিব কামাল পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

বিএনপি নেতা কামাল বলেন, আমি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলাম। আমার মেয়াদকাল আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত আছে। কিন্তু আমাদের করপোরেশনের তহবিলে বিপুলসংখ্যক টাকা থাকা সত্ত্বে আমি কোনো কাজ করতে পারছি না। পাশাপাশি করপোরেশনের ঠিকাদার, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিলসহ অন্যান্য বিলও পরিশোধ করতে পারছি না।

এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কোনো এক অদৃশ্য চাপে করপোরেশনের সমস্ত বিল আটকে দেয়া হয়েছে। এর ফলে সিটি করপোরেশন এলাকার রাস্তার বাতি, জ্বালানি তেল, স্টেশনারি মালামালসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনতেও পারছি না। এতে আমি সাধারণ জনগণকে তাদের প্রাপ্য সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। আর এসব কারণেই সিটি মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি তাই জনগণকে বলতে চাই, আমাকে যদি কাজ করতে না দেয়া হয় তাহলে কীভাবে আমি জনগণের সেবা করবো। আর সেবা দিতে না পারার কারণে আমি এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব কামাল। তার পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৩ অক্টোবর।

গত ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় অংশ নেননি কামাল। ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে বিএনপি ও অন্যান্য দলের প্রার্থীদের বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের সাদিক আবদুল্লাহ। তবে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করতে দুই মাসের বেশি সময় নেয় নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে সাদিক আবদুল্লাহকে মেয়র ঘোষণা করলেও তিনি এখনও শপথ নেননি।

(ঢাকাটাইমস/০৪অক্টোবর/টিটি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :