৪৩ কেজি সোনাসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার
৪৩ কেজি সোনাসহ আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাকারবারি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জে একটি দূরপাল্লার বাস থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন র্যাব-২ এর পরিচালক লে. কর্নেল মো. আনোয়ার উজ জামান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ইয়াহিয়া আমিন (৪২), শেখ আমিনুর রহমান (৩৭), মনিরুজ্জামান রনি (৩৫), শেখ জাহিদুল ইসলাম (৩৩) ও জহিরুল ইসলাম তারেক (২৮)।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে বেনাপোল দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের উদ্দেশ্যে চোরাকারবারিরা সোনা বহন করছিল। এমন খবরে ওই মহাসড়কের তরা ব্রিজের কাছে একটি দূরপাল্লার বাস জব্দ করে র্যাব সদস্যরা। র্যাব গাড়ির থামানোর পরপরই পাঁচ চোরাকারবারি গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় র্যাব সদস্যরা তাদেরকে ঝাপটে ধরে ফেলে।
আনোয়ার উজ জামান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে গডফাদার জাহিদুল ইসলাম। তিনি ভারত থেকে একজন ফোনের মাধ্যমে জাহিদুলকে পুরান ঢাকা থেকে সোনা নিয়ে আসতে বলে। জাহিদুল তার কথা মতো প্রতি সপ্তাহে সোনাগুলো এনে তার সহযোগীদের মাধ্যমে ভাগ করে দেন। তার সহযোগীরা প্রতি সপ্তাহে একবার করে বেনাপোল যান। এ কাজে তারা প্রতিমাসে ৩০/৪০ হাজার টাকা পান। জাহিদ প্রায় দেড় বছর ধরে এই চক্রের সাথে জড়িত।
ইয়াহিয়া সৌদি আরবে চাকরি করতেন। ছয় মাস আগে দেশে ফিরে এই চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ে।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, একটি সোনার বার পরীক্ষা করে দেখা গেছে ২৩ ক্যারেটের। স্বর্ণের বারের গায়ে দুবাই, অস্ট্রেলিয়া ও ইউএই লেখা রয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে সোনার বারগুলো ওইসব দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশকে ট্রানজিট করে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার হচ্ছিল।
(ঢাকাটাইমস/০৪অক্টোবর/এসএস/জেবি)