উন্নয়ন মেলায় ইভিএমে ভোট দিতে ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ২২:১৪

ভোটদান পদ্ধতি পুরো পাল্টো দেবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সাধারণের মধ্যে যে ব্যাপক উৎসাহ রয়েছে, সেটি বোঝা গেল উন্নয়ন মেলায়।

ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হবে, সেটি এই মেলায় তুলেছে নির্বাচন কমিশন। আর এই প্রতীকী ভোট দিতে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে দর্শনার্থীদের।

বৃহস্পতিবার আন্তজাতিক বাণিজ্যমেলার মাঠে শুরু হয় তিন দিনের এই উন্নয়ন মেলা । এখানে নিবার্চন কমিশনের একটি স্টল রয়েছে। সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিস ঢাকা এই নামে স্টলটি নেয়া হয়েছে।

এই স্টলে দিনভর এত বেশি ভিড় যে স্টলের কর্তকর্তাদেরকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে।

দর্শনার্থীরা প্রতীকী ভোট দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশ্ন রেখেছেন ইসি কর্মকর্তাদের। আর তারা দিয়ছেন জবাব।

শরিফুল ইসলাম এসেছেন মিরপুর থেকে। ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হয় সেটা তিনি হাতে কলমে দেখছেন। ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে অনেক আলোচনা শুনেছি। আজ এখানে দেখলাম। কীভাবে ভোট দিতে হয় সেটাও হাতে কলমে জানলাম। এ মেশিনের প্রচার আরও বেশি করে করা দরকার।’

স্টলে দায়িত্বে থাকা ধানমন্ডি থানা নির্বাচন কর্মকর্তা সুমন মিয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কীভাবে ইভিএমে ভোট দেয়া যায় সেটা এখানে আমরা দেখাচ্ছি। কিছুদিন আগে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছিল। যারা www.nidw.gov.bd/evm এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছে তারা এখানে প্রতীকী ভোট দিতে পারছে। এখানে আইরিশ স্ক্যানও করার ব্যবস্থাও আছে। এছাড়া আমরা জাতীয় পরিচয় পত্র সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যও দিচ্ছি এখানে।’

তিনভাবে ভোটারকে শনাক্ত করার ব্যবস্থা রয়েছে ইভিএমে। এক. ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে, দুই স্মার্ট আইডি কার্ডের মাধ্যমে, আর তিন. জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর বা ভোটার নম্বর দিয়ে।

ধানমন্ডি থানা নির্বাচন কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, ‘এখানে একজনের ভোট অন্য জনের দেয়ার সুযোগ নেই।’

দেড় লাখ ইভিএম কিনতে তিন হাজার ৮২৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তবে এই সব ইভিএম আগামী জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে না। কারণ বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আপত্তি রয়েছে এই যন্ত্রের প্রতি।

আর নির্বাচন কমিশনও চাপাচাপি না করে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করে ভোটারদের আস্থা বৃদ্ধির পক্ষে।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘আইনগত অনুমোদন পেলে যতটুকু পারা যায় নিখুঁতভাবে নিশ্চিত হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।’

বাংলাদেশে ইভিএমের ব্যবহারের শুরু আওয়ামী লীগের গত আমলে। ২০১০ সালে চট্টগ্রাম, পরের বছর নারায়ণগঞ্জ, ২০১২ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন আর তার পরের বছর রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরীক্ষামূলক ইভিএম ব্যবহার করা হয়। তবে ওই যন্ত্রে কিছু ঝামেলা দেখা দেয়ার পর আর আগায়নি নির্বাচন কমিশন।

তবে বর্তমান কমিশন নতুন এক ধরনের ইভিএমন ব্যবহার করছে। গত ২৬ ডিসেম্বরে রংপুরে একটি, ১৫ মে খুলনায় দুটি, ২৬ জুন গাজীপুরে ছয়টি এবং ৩০ জুলাই বরিশালে ১১টি এবং রাজশাহী ও সিলেটে দুটি করে কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হয়।

এই ৩৪টি কেন্দ্রের কোথাও ইভিএম নিয়ে কোনো ঝামেলা হয়নি। বরং ভোটাররা এই পদ্ধতিতে ভোটদানকে সহজ বলেছেন।

এই পদ্ধতিতে এক জনের ভোট অন্যজনের দেয়া সম্ভব নয়। কারণ আঙ্গুলের ছাপ বা স্মার্ট আইডি কার্ড যন্ত্রে পাঞ্চ করেই ভোটারের পরিচিতি শনাক্ত করা যায়।

(ঢাকাটাইমস/০৪অক্টোবর/জেআর/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :