শুভ জন্মদিন, ভালোবাসার মাশরাফি

শেখ আদনান ফাহাদ
| আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৪৭ | প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৩৪

দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদের নাম কি? চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুধু বর্তমানের কেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের জনপ্রিয়তম ক্রীড়াবিদদের তালিকা করলেও মাশরাফির নাম উপরের দিকেই থাকবে। কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসার মানুষ মাশরাফির আজ জন্মদিন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক আইকনিক ব্যক্তিত্ব থাকলেও, একটা লম্বা সময় ক্রীড়াক্ষেত্রে তেমন কোনো আন্তর্জাতিক তারকা আইকন ছিলেন না। সালাউদ্দিন, আসলাম, মোনেম মুন্না কিংবা সাব্বিরদের মত ফুটবলাররা জাতীয় পর্যায়ে তুমুল জনপ্রিয় হলেও বিশ্বমঞ্চে উল্লেখ করার মত পরিচিত ছিলেন না। ক্রিকেট খেলায়ও একটা সময় পর্যন্ত বড় ধরনের তারকা ছিলেন না। ভারতের শচীন কিংবা পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরামরাই ছিলেন আমাদের প্রিয় সুপারস্টার। দেশের ক্রিকেটাররা সে ধারা বদলে দিয়ে নিজেরাই সুপারস্টার হয়ে উঠেন।

মোহাম্মদ আশরাফুল সম্ভবত বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার। আকরাম খান, হাবিবুল বাশার সুমন, মেহরাব হোসেন অপি কিংবা মোহাম্মদ রফিকরা দেশের ক্রিকেটের বিকাশের পেছনে ঐতিহাসিক অবদান রাখলেও সুপারস্টার হতে পারেননি। আর এখন তো সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সবাই একেকজন সুপারস্টার। শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের নানা প্রান্তের অসংখ্য মানুষ এদের ভক্ত।

কিন্তু মাশরাফির জনপ্রিয়তা অন্যরকম মাত্রা বহন করে। সাকিব বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার, মুশফিক অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, মোস্তাফিজ বিশ্বের বোলিং বিস্ময়, তামিম মারকুটে তারকা ব্যাটসম্যান। সবাই বিখ্যাত, সবাই তারকা, কিন্তু মাশরাফি যেন তারকারও তারকা। মানুষ শুধু মাশরাফিকে তারকাই মনে করে না, ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে, দোয়া করে মাশরাফির জন্য। মাশরাফি শুধু একজন ক্রিকেটার নন, ক্রীড়াবিদ নন, একজন নেতা, একজন যোদ্ধা, একজন পথ-প্রদর্শক।

অনেকে বলেন, মাশরাফির হাতে নাকি জাদু আছে! আমি বলি, মাশরাফি জাদুকর নন। মাশরাফি একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক, একজন নিবেদিত প্রাণ ক্রিকেটার, সৎ, আন্তরিক ক্রীড়াবিদ। জেতার অদম্য বাসনা আর বুদ্ধিদীপ্ত ক্রীড়া-নেতৃত্ব মাশরাফিকে অন্য জাতের খেলোয়াড়ে পরিণত করেছে। নিজে উজ্জীবিত থেকে সহ-খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত, উদ্দীপিত করার গুণ মাশরাফির রয়েছে। বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে এমন নেতৃত্ব গুণের অধিকারী হয়ে থাকেন। সাধারণ মানুষ এদের কথায় জান কোরবান করে, চরম ভীতু মানুষটি দারুণ লড়াকু হয় উঠেন। মাশরাফি এমন একজন নেতা।

প্রিয় মাশরাফি আজ পঁয়ত্রিশ বছর পেরিয়ে ছত্রিশে পা রেখেছেন। মাশরাফি বিন মুর্তজার জন্ম ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর। মা হামিদা মুর্তজার কোল আলোকিত করে কৌশিক দুনিয়াতে এসেছিলেন ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর। আরও আনন্দের ব্যাপার হল, মাশরাফির ছেলে সাহেলও এসেছে একইদিনে ২০১৪ সালে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে ক্রমেই বাংলাদেশ নয় শুধু, বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম আইকনে পরিণত হন মাশরাফি। অথচ মাশরাফির এই পথচলায় বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইনজুরি। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ডাক্তারের ছুরির নিচে যেতে হয়েছে ৭ বার। এত চোট নিয়ে একজন যোদ্ধাই শুধু লড়ে যেতে পারেন। আমাদের মাশরাফি এমনই একজন লড়াকু যোদ্ধা। মাশরাফি শুধু বোলিং দক্ষতা ও সাফল্য দিয়েই বাংলাদেশের ক্রিকেটে স্থায়ী আসন পেতে পারেন। মর্তুজা বাংলাদেশের সফলতম পেস বোলারদের একজন। আক্রমণাত্মক, গতিময় বোলিং দিয়ে অনূর্ধ-১৯ দলে থাকতেই তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাবেক ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি রবার্টসের নজর কেড়েছিলেন, যিনি কিনা তখন দলটির অস্থায়ী বোলিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন। রবার্টসের পরামর্শে মাশরাফিকে বাংলাদেশ এ-দলে নেয়া হয়।

বাংলাদেশ এ-দলের হয়ে একটিমাত্র ম্যাচ খেলেই মাশরাফি জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। ৮ নভেম্বর, ২০০১ এ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। অভিষেকেই নিজের জাত চিনিয়ে মাশরাফি সে টেস্টে ১০৬ রানে ৪টি উইকেট নিয়ে। গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার ছিলেন তার প্রথম শিকার। দারুণ মজার ব্যাপার হল, মাশরাফির প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচও ছিল এটি। তিনি এই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী ৩১তম খেলোয়াড় এবং ১৮৯৯ সালের পর তৃতীয়। একই বছর ২৩শে নভেম্বর ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফির অভিষেক হয় ফাহিম মুনতাসির ও তুষার ইমরানের সাথে। অভিষেক ম্যাচে মোহাম্মদ শরীফের সাথে বোলিং ওপেন করে তিনি ৮ ওভার ২ বলে ২৬ রান দিয়ে তুলে নেন ২টি উইকেট।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যক্তিগত তৃতীয় টেস্ট খেলার সময় তিনি হাঁটুতে আঘাত পান। এর ফলে তিনি প্রায় দু'বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকতে বাধ্য হন। ইংল্যন্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলায় তিনি সফলতা পান। ৬০ রানে ৪ উইকেট নেয়ার পর আবার তিনি হাঁটুতে আঘাত পান। এযাত্রায় তিনি প্রায় বছরখানেক মাঠের বাইরে থাকতে বাধ্য হন।

২০০৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলার সময় রাহুল দ্রাবিড়কে অফ-স্ট্যাম্পের বাইরের একটি বলে আউট করে তিনি স্বরুপে ফেরার ঘোষণা দেন। সেই সিরিজে তিনি ধারাবাহিকভাবে বোলিং করেন এবং টেন্ডুলকারগাঙ্গুলীকে আউট করার সুযোগ তৈরি করেন। তবে ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় তিনি উইকেট পাননি। এই সিরিজের একটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি।

২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তিনি ভালো বল করেন। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তার গড় ছিল সবচেয়ে ভালো। কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নাটকীয় জয়ে তিনি অবদান রাখেন। তিনি মারকুটে ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে শূন্য রানে আউট করেন এবং দশ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দেন।

ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে ভালো পেস বোলারের ঘাটতি ছিল। বাংলাদেশে মোহাম্মদ রফিকের মত আন্তর্জাতিক মানের স্পিনার থাকলেও উল্লেখযোগ্য কোনো পেস বোলার ছিল না। মাশরাফি বাংলাদেশের সেই শূন্যস্থান পূরণ করেন ২০০৬ ক্রিকেট পঞ্জিকাবর্ষে মাশরাফি ছিলেন একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় বিশ্বের সর্বাধিক উইকেট শিকারী। তিনি এসময় ৪৯টি উইকেট নিয়েছেন।

২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয়ে মর্তুজা ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ৩৮ রানে ৪ উইকেট দখল করেন। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি খেলায় নিউজিল্যান্ডের সাথে বিজয়েও মাশরাফির ভূমিকা রয়েছে।

১৬ বছরের ক্যারিয়ারে ১১ বার চোটের কারণে দলের বাইরে যেতে হয়েছে মাশরাফিকে। চোটই তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল ২০১১ সালের দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ। ২০১৬ সালের রকেট বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় খেলায় ২ উইকেট সংগ্রহের মাধ্যমে মোট ২১৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি হিসাবে তুলে ধরেন নিজেকে।

২০১৭ সালে ৬ এপ্রিল বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি দিয়ে উনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা থেকে অবসর নেন। মাঠে ম্যাশ নামে পরিচিত মাশরাফি বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার যে অধিনায়ক থাকা অবস্থায় অবসর নেয়।

২০০৯ সালের শুরুতে মাশরাফি অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের সহকারী ছিলেন। পরবর্তীতে ওই বছরেরই জুন মাসে তিনি মোহাম্মদ আশরাফুলের স্থলাভিষিক্ত হন এবং তার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পান সাকিব আল হাসান। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে নিজের প্রথম ম্যাচেই তিনি হাঁটুতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ওই খেলায় বাংলাদেশ জয়লাভ করে কিন্তু মাশরাফি চোটের কারণে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠের বাইরে ছিলেন। উক্ত ম্যাচসহ পরবর্তীকালে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করেন সাকিব আল হাসান। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের সাথে হোম সিরিজে তিনি পুনরায় অধিনায়কত্ব পান। তবে এ বার তিনি শুধু একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য দায়িত্ব পান এবং এবারও তার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পান সাকিব আল হাসান। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও তিনি বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বারবার চোটের কবলে পড়া মাশরাফি খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ১৯৬টি ওয়ানডে ম্যাচে মাশরাফি উইকেট শিকার করেছেন ২৫১টি। এমনিতেই আইসিসির বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বছরে তুলনামূলক কম সংখ্যক ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তবু মাশরাফি সব বাধা পেরিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের ওয়ানডে ভার্সনে অন্যতম সফল বোলার। মাশরাফি একজন মারকুটে ব্যাটসম্যান। ভারতের বিপক্ষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় তিনি পরপর চার বলে ছক্কা পেটান। সেই ওভার থেকে তিনি ২৬ রান সংগ্রহ করেন যা কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের জন্য এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। একাধিক হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে মাশরাফির।

আসলে ক্রিকেট এর পরিসংখ্যান দিয়ে মাশরাফির গুরুত্ব বোঝানো যাবে না। মাশরাফির আসল ক্যারিশমা নেতৃত্ব গুণে। যখনই মনে হয়, বাংলাদেশের ক্রিকেট বোধ হয় খাদে পড়ে গেল, তখন মাশরাফি যেন ঐশ্বরিক দূত হয়ে সুখবর নিয়ে আসেন। সর্বশেষ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ পুরো টুর্নামেন্টকে মাতিয়ে রেখেছে। অথচ গ্রুপ পর্বে ভারত আর আফগানিস্তানের সাথে অসহায়ভাবে হেরে যাওয়ায় দেশের মানুষ এর মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। মাশরাফি সবাইকে অভয় দিলেন এবং কামব্যাক করালেন দলকে। এশিয়া কাপের ফাইনালে আসার আগে রোমাঞ্চকর সব ম্যাচে শ্রীলংকা, আফগানিস্তান আর পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশ। প্রতিটি ম্যাচই ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। ফাইনালে মাত্র ২২২ রানকে পুঁজি করে বাংলাদেশ যেভাবে লড়াই করে শেষ বলে হেরেছে সেটি ক্রিকেটপ্রেমিকরা মনে রাখবেন আজীবন। তামিম ইকবাল ভাঙা হাত নিয়ে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গিয়ে প্রমাণ করেছিলেন বাঙালি বীরের জাতি। বলা বাহুল্য, মাশরাফি ছিলেন সমস্ত লড়াইয়ের মূল উৎস।

মাশরাফি একদিন ক্রিকেট খেলবেন না। অবসরে যাবেন। কিন্তু আমাদের দোয়া থাকবে, মাশরাফি সুদীর্ঘ জীবনের অধিকারী হন। মাশরাফি অবসর জীবনে কী করবেন, সেটা আমরা জানি না। হয়ত তিনি রাজনীতি করবেন, হয়ত তিনি প্রধান নির্বাচক হবেন, বিসিবি প্রধান হবেন। জীবনে যাই করেন মাশরাফি, তাঁকে মনে রাখতে হবে, তিনি একজন পাবলিক ফিগার, যার উপর এদেশের মানুষের হক রয়েছে। বিশেষ করে দেশের অসংখ্য শিশু-কিশোর তাঁকে অনুসরণ করে। সারাজীবন মাশরাফি মানুষের, নতুন প্রজন্মের আদর্শ হয়ে থাকুন, আমাদের এতটুকুই চাওয়া।

লেখক: শিক্ষক ও সাংবাদিক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ

পেনাল্টি নিতে খেলোয়াড়দের ধাক্কাধাক্কি, কড়া হুঁশিয়ারি কোচ পচেত্তিনোর

উইজডেনের বর্ষসেরার তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার তিন ও ইংল্যান্ডের দুইজন

সার্বিয়ান ওপেনে ইরানি নারী তায়কোয়ান্দোদের ২ পদক

এগিয়ে থাকলেও পিএসজিকে সমীহ করছেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ

অবসর ভেঙে তামিম ও মুশফিককে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরানোর ব্যাপারে যা বললেন শান্ত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি প্রত্যাশা না রাখার অনুরোধ শান্তর!

উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার’ কামিন্স ও ব্রান্ট

বেঙ্গালুরুর একাদশে না থাকার রহস্য ভাঙলেন ম্যাক্সওয়েল

তাসকিনের বিশ্রাম ও আইপিএল খেলতে না দেওয়া নিয়ে যা বলছে বিসিবি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :