মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদত্যাগ চান কোটা বহাল আন্দোলনকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৩৬

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সুপারিশ করায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের পদত্যাগ দাবি করেছেন কোটা বহালের দাবিতে আন্দোলনরতরা। তাকে ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ এবং ‘অথর্ব’ আখ্যায়িত করে প্রশাসন থেকে সরানোর দাবি করেছেন তারা।

এই আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. আ. ক. ম. জামাল উদ্দিন ঢাকাটাইমসের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন সরকারের ভেতর থেকে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা। এই তৎপরতা প্রতিহত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে (শফিউল আলম) বিদায় নিতে হবে। আমরা স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তিদের প্রশাসনের মধ্যে দেখতে চাই না।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, ‘তিনি কারও সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেননি। সংবিধানে স্বীকৃত এই কোটা কত সেমিনার, ওয়ার্কশপ করে সংবিধানে সংযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কারও সঙ্গে কোনো আলাপ না করে বাতিল করা হলো। এটা বিবেচনা প্রসূত না, এটা প্রশাসনের মধ্যে স্বাধীনতাবিরোধীদের একটি অপতৎপরতা। আমরা এই অপতৎপরতার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের সুস্পষ্ট অপসারণ চাই।’

জামাল উদ্দিন জানান, শনিবার দুপুর ৩টায় শাহবাগ মোড়ে তারা একটি সমাবেশ করবেন। এরপর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, অনলাইন ও বিভিন্ন মিডিয়ার খবর শুনে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা আমাদের আন্দোলনে স্বতস্ফূতভাবে অংশ নিচ্ছে। প্রথম দিন লোক সমাবেশ কম হলেও আস্তে আস্তে সবাই শাহবাগ মোড়ে আসছে।’

এসব আন্দোলন বড় হতে দেরি লাগে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তার ও পরিবারের সদস্যরা আন্দোলনে শরিক হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রতিবন্ধীরা অংশ নিয়েছে।’

প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘আমাদের দাবি, সরকারি চাকরিতে ৩০% যে কোটা আছে সেটা অব্যাহত রাখতে হবে। সাউথ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এই রকম কোটা আছে। কিন্তু কেন সেটা বাংলাদেশে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিবন্ধী কোটা একটা মানবিক বিষয়। তারা সাদা ছড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমে গেছে। এটা কি আমাদের জাতির জন্য বিশ্বের কাছে ছোট করবে। তারা বলবে এই দেশের প্রতিবন্ধীরা তাদের চাকরির অধিকারের জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও দেশ যে সুনাম রেখেছে বিশ্বের কাছে সেই সুনাম এখন কোথায় থাকবে। কারও সাথে আলোচনা না করে বাতিল করা হয়েছে; এটা আমরা মানবো না।’

সমাবেশে যদি তেমন সাড়া না পান তাহলে কী ধরনের আন্দোলনে যাবেন-এমন প্রশ্নে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। বুধবারে আমাদের লোক সমাগম খুব কম ছিল। কিন্তু আজ শ’শ লোক ব্যানার নিয়ে এখানে সমবেত হয়েছে। আমরা মনে করছি সারা বাংলাদেশে দুই লাখ ৬৫ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা লিস্টেড আছ্নে; যারা সম্মুখযুদ্ধ করেছেন। এর বাইরেও দেশের আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন, তারাও রাষ্ট্রীয় খেতাবপ্রাপ্ত। এসব মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাদের পরিবার দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে আসছে।’

‘তবে এই আন্দোলন এখনও সংগঠিত রূপ নেয়নি; কিন্তু অচিরেই সংগঠিত রূপ নেবে এবং তাদের শক্তি প্রদর্শন করবে। আমরা শুধু শাহবাগ না লাগাতাল কর্মসূচি দিয়ে সারা বাংলাদেশ অচল করে দেব।’

(ঢাকাটাইমস/০৫অক্টোবর/এসএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :