তুরাগে এখনো নিখোঁজ ট্রলার, সন্ধান মেলেনি যাত্রীদেরও

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৫৫

সাভারের আশুলিয়ায় তুরাগ নদে ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী ট্রলার এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ট্রলার ডুবির ১৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও নিখোঁজ ও ট্রলারের যাত্রী সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি প্রশাসন।

তবে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিআইডব্লিউটিএ এর তলবকৃত উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা পৌঁছলে ট্রলারটির উদ্ধার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তুরাগ নদের রুস্তমপুর এলাকার এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।

নৌকার যাত্রী রুস্তমপুর নয়াপাড়া এলাকার লিটন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মর্জিনা বেগম জানান, প্রতিদিনের মত নদীর ওই পারে খেয়াঘাটের পাশে একটি প্রতিষ্ঠানে রান্নার কাজ শেষে ট্রলারে করে বাসায় ফিরছিলেন। তিনি ট্রলারের সামনের অংশে বসে ছিলেন। এসময় ট্রলারে আরও ২০-২৫ জন যাত্রী ছিল। হঠাৎ অপর একটি বালু বোঝাই ট্রলার তাদের ট্রলারের মাঝ দিয়ে উপরে উঠিয়ে দেয়।

এতে তিনি ও অনেক যাত্রী নদীতে লাফিয়ে পড়েন। তিনি সাঁতরিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি ইট ভাটার কাছে পৌঁছালে এক মাঝি তাকে উদ্ধার করে

সদরঘাট নদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল মালেক মোল্লা জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রাতভর কাজ করেছে। তবে এখন নিখোঁজ কারো সন্ধান মেলেনি। তবে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিআইডব্লিউটিএ এর পক্ষ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা তলব করা হয়েছে। জাহাজটি এসে পৌঁছালে উদ্ধারকাজ শুরু করা হবে। তবে কখন শুরু হবে এবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

আশুলিয়া নৌ পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, আল্লাহর দান-২ নামে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাল্কহেড বালু বোঝাই জাহাজটি সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফায়ার সার্ভিসের ৪ নং জোনের উপ-সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল হক জানান, রাতে উদ্ধার কাজ পরিচালনাকালে নদীর তলদেশে অনেক রশি বাঁধা অবস্থায় পেয়েছেন তারা। তাই ডুবে যাওয়া ট্রলারটি সনাক্ত করতে তাদের বিলম্ব হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আঁধা কিলোমিটার দূরে নদীর তলদেশে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটির অবস্থান নিশ্চিত হন তারা। তবে নারায়ণগঞ্জ থেকে তলবকৃত হামজা উদ্ধারকারী জাহাজ পৌঁছলে উদ্ধারকাজ শুরু হবে।

এদিকে স্থানীয়রা জানায়, তুরাগ নদীতে মাঝেমধ্যেই এরকম দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রতিদিন রুস্তমপুর এলাকার প্রায় ৮-১০ হাজার মানুষ নৌকা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবির সেতুটি আজও নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। অবিলম্বে তারা এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান।

(ঢাকাটাইমস/০৬অক্টোবর/প্রতিনিধি/ওআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :