বিশ্ব নেতারাও শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চান: দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ২৩:০৬ | প্রকাশিত : ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ২০:০৮

বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশের উন্নয়ন সারা বিশ্বের জন্য বিস্ময়কর বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আরিফুর রহমান দোলন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে আসা বিশ্ব নেতারা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সেই সঙ্গে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রী শেখ হাসিনা যেন আবারও ক্ষমতায় আসতে পারেন, সেই কামনা করেছেন।’

শনিবার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার কুচিয়াগ্রাম বটতলায় আওয়ামী লীগের এক কর্মিসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। দেশের মানুষ শান্তিতে থাকে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার কঠোর ও দূরদর্শী নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমন হয়েছে।’

দেশের মানুষের ভাগ্য বদলই শেখ হাসিনার প্রধান লক্ষ্য উল্লেখ করে দোলন বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতুর মতো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি বিশ্বের কাছে অনন্য এক দৃষ্টান্ত।’

দোলন বলেন, ‘বর্তমান সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ ও কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দক্ষ জনশক্তিই পারে কেবল স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে তিনি কাজ করছেন। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনেও নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।’

আরিফুর রহমান বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে উন্নয়নের ছোঁয়া। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। তবে, অনেক সময় দেখা যায়, অনেক সভা সমাবেশ হয়। সেখানে শেখ হাসিনার এসব উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয় না। শেখ হাসিনার কথা বলা হয় না।’

দোলন বলেন, ‘যারা শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা প্রচার করতে দিতে চায় না, তারা কী করে আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়।’ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলে শেখ হাসিনা যা বলবেন তাই মেনে নিতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।

কৃষক লীগের এই নেতা বলেন, আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামে ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে টেকনিক্যাল ট্রেইনিং সেন্টার হচ্ছে। নোয়াপাড়া এবং কোচিয়া গ্রামের প্রত্যেকটি মসজিদে সরকারের অনুদান গেছে। এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এই কারণে।

ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের এই মনোনয়ন প্রত্যাশী বলেন, ‘কোনো নেতা এসব বরাদ্দ আনতে পারেননি। সেজন্য কিন্তু এসব বরাদ্দ থেমে থাকেনি। আমরা সেসব বরাদ্দ এনে দেখিয়ে দিয়েছি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে এই অঞ্চলের উন্নয়ন কোনোভাবেই থেমে থাকবে না।’

দোলন বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, শেখ হাসিনা যদি নিজেকে জনগণের সেবক মনে করতে পারেন, জনগণকে মনিব ভাবতে পারেন তাহলে জনপ্রতিনিধিরা কেন নিজেকে জনগণের সেবক ভাবতে পারবেন না। আপনারাই হচ্ছেন ক্ষমতার মালিক। আপনারা না থাকলে জনপ্রতিনিধির কোনো প্রয়োজন নেই।’

কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছুই চাই না। আমার যে বয়স, এই বয়সে গোটা বিশ্ব দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন মহান রাব্বুল আলামিন। রাজধানী ঢাকাতে যথেষ্ট মর্যাদা আমাকে দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। কিন্তু এই মর্যাদা এই সম্মান দিয়ে আমি কী করবো?’

‘আমার জন্মস্থান ফরিদপুরের মানুষ যদি ভালো না থাকে, তারা যদি জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে সম্মান না পায়, তাহলে এই একক সম্মান দিয়ে আমি ভালো থাকতে পারি না, পারবো না। আপনাদের সম্মান রক্ষার জন্যে, আপনাদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্যে আমি আপনাদের কাতারে শামিল হয়েছি। আমি আপনাদের সাথে আগেও ছিলাম, এখনো আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাল্লাহ।’

আলফাডাঙ্গার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আবুল সরকারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তৃতা করেন- আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম জালাল উদ্দিন, ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু হোসেন তালুকদার, আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহাদুল হাসান আহাদ, বুড়াইচ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান ইকু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিন্টু, গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান, টগরবন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, আলফাডাঙ্গা পৌর কৃষক লীগের আহ্বায়ক আউয়াল ফকির, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রাজিব, টগরবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন, আলফাডাঙ্গা পৌর কৃষক লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা শওকত কামাল নান্নু, ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সদস্য কামরুজ্জামান কদর প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/০৬অক্টোবর/এইচএফ/ইএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজপাট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা