‘নকলে বছরে হারাচ্ছে সাত হাজার কোটি টাকার রাজস্ব’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ২৩:৪০ | প্রকাশিত : ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ২০:৪৭

পৃথিবীতে মোট সম্পদের চার ভাগের তিন ভাগ মেধাসম্পদ। কিন্তু এ মেধাস্বত্ব সুরক্ষায় বাংলাদেশে তেমন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। যার ফলে দেশে নকল পণ্য তৈরি বেশি হচ্ছে। এতে বছরে সাত হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

শনিবার ‘মেধাস্বত্ব সম্পত্তি অধিকার’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তারা জানিয়েছেন এই তথ্য।

রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারি অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) পেশাগত উন্নয়ন (সিপিডি) বিষয়ক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইপ্যাব) মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘নকল পণ্যের ছড়াছড়ি চারদিকে। আমাদের ভোক্তাদের নকল পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাদের সচেতন হতে হবে। নকল পণ্য কেনা বন্ধ করলেই এই পণ্য উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।’ আজিজুর রহমান বলেন, ‘সরকার বছরে সাত হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাচ্ছে এই নকল পণ্যের কারণে। এটা রুখতে হলে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার বাড়াতে হবে।’

আইপ্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘মেধাস্বত্ব পদ্ধতি আধুনিকায়ন সম্ভব হলে সব পণ্য এবং পরিষেবা সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে ভোক্তাদেরও সুবিধা হবে। এক ক্লিকেই জানতে পারবে কোনটা সঠিক পণ্য।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুল হালিম বলেন, ‘ইন্টেলেকচুয়াল পলিসি রাইট ফাইলটি ড্রাফ আকারে আছে। দ্রুত এটা বাস্তবায়িত হবে। দেশ উন্নত হচ্ছে, আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নত হতে হবে। ভেজাল পণ্য রোধ করতে হবে।’

সিপিডি সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রফেশনাল ডেভেলপন্টের সাব কমিটির সভাপতি ও ইনস্টিউটের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসাদ উল্লাহ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ভেজাল পণ্যের ভিড়ে আসল পণ্য চেনাই দায়। সরকারের উচিত ভেজাল রুখতে আইনের কার্যকর প্রয়োগ করা।

পেটেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক (ডিপিডিটি) রেজিস্ট্রার এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সানোয়ার হোসেন আইপির সম্পর্কিত রেগুলেশনস এবং ডিপিডিটি এর কার্যাবলী সম্পর্কে কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, আইপিআর সুরক্ষা নতুনত্বকে উৎসাহিত করে, একটি ভালো ব্যবসা পরিবেশে তৈরিতে অবদান রাখে এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ায়। তাছাড়া, বাজার বৈচিত্র্য অর্জনের জন্য মানোন্নয়নে আইপিআর অপরিহার্য।

সানোয়ার হোসেন বলেন, মেধাসম্পদ হলো সৃজনশীল জ্ঞান যা বাণিজ্যে ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের জন্য অনলাইন সেবা চালু করেছে সরকার। মেধাসম্পদসংক্রান্ত অন্য সেবাও এখন থেকে অনলাইনে পাওয়া যাবে। ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পণ্যের মালিকানা সুরক্ষায় ভৌগলিক নির্দেশক আইন (জিআই অ্যাক্ট) পাস করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় মাছ ‘ইলিশ’ ও ঐতিহ্যবাহী ‘জামদানি’কে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে।

এসময় সানোয়ার হোসেন মেধাসম্পদ, প্যাটেন্ট, ট্রেডমার্ক ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করেন। কীভাবে কোম্পানির নাম রেজিট্রেশন করতে হবে সে সম্পর্কে বলেন। সানোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের দেশে ট্রেডমার্ক নেয়ার হার কম। দেখা যায় বিদেশি কোনো কোম্পানি তাদের নাম নিবন্ধন করতে এলে ১০০টি আবেদন দিলে ৭৫-৮০টিই সেই নাম গ্রহণ হয়। কিন্তু বাংলাদেশি কোম্পানি ১০০টি নাম দিলে সেটা ২৫-৩০টি গ্রহণ হয়। আবেদনকারীকে আগে থেকেই নাম যাচাইয়ে সতর্ক হতে হবে। কারণ এক কোম্পানির সঙ্গে মিল রেখে সেই নামে অন্য কেউ কোম্পানি খুলতে পারবে না।

(ঢাকাটাইমস/০৬অক্টোবর/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ করতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ডিভাইস বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

পাটজাত পণ্যের বৈশ্বিক বাজারকে কাজে লাগাতে হবে: পাটমন্ত্রী

অধ্যাপক খলীলী ব্যাংক এশিয়ার বোর্ড অডিট কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত

স্বর্ণের দাম কমল ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা

জনতা ব্যাংকের ম‌্যানেজার্স ইন্ডাকশন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে স্থানান্তরিত হলো ন্যাশনাল ব্যাংক ডিজাস্টার রিকভারি সাইট

ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন

টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন, মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

মিনিস্টারের শতকোটি টাকার ঈদ উপহার জিতে আনন্দিত ক্রেতারা 

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :