চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য পরিবহনের প্রস্তুতি শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:৪২

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতের চারটি বন্দরে পণ্য পরিবহনের কাজ শুরু হচ্ছে এ মাসেই। এ সংক্রান্ত সব ধরনের কাজ প্রায় শেষ করেছে বাংলাদেশ। এ কাজে বর্তমানে বাংলাদেশ বেশ সক্ষম বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুস সোবহান।

রোববার সাউথ এশিয়া মেরিটাইম এন্ড লজিস্টিকস ফোরামের দ্বিতীয় সম্মেলন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান তিনি। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন বি ইউজড অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়া বিটুইন দি পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড দি রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া’ চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

সচিব বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব ভারতে মালামাল পরিবহনে আমাদের সক্ষমতার কোনো সমস্যা নেই। আমরা প্রতিবছর মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর মিলে চার হাজারের বেশি জাহাজ গ্রহণ করি। এর মধ্যে ৬০টি জাহাজ বাংলাদেশি। বাকি সব জাহাজই বিদেশি। কাজেই ভারত থেকে যেসব জাহাজ আমাদের এসব বন্দরে আসবে তার সবগুলোকেই হ্যান্ডেল করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’

সচিব বলেন, ‘আমাদের পোর্ট পলিসিই হচ্ছে, বেশি বেশি বিদেশি জাহাজ রিসিভ করা। যত বেশি জাহাজ হ্যান্ডেল করবো, তত বেশি রেভিনিউ হবে। এমনকি এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট বাড়বে। চিটাগাং ও মোংলা পোর্টে ইন্ডিয়ার জাহাজ আসার পর সাউথ-ইস্ট ইন্ডিয়ায় যে মালামাল ক্যারি করবে, সেগুলো যাবে বাংলাদেশি গাড়িতে। অর্থাৎ বাংলাদেশি ট্রাক ব্যবহার করলে আমরা এখান থেকে নানা ধরনের সুবিধা পাবো। এক্ষেত্রে সব ধরনের সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এতে কোনো ভৌত অসুবিধা হবে না। ইতোমধ্যে আমরা বন্দর সম্প্রসারণের সব ধরনের কাজ করেছি। চট্টগ্রাম পোর্টে গ্রে টার্মিনাল হচ্ছে, যেখানে আরও ১৩টি জেটি যুক্ত হবে। এ টার্মিনালটিতে আরও অনেক বেশি বিনিয়োগ বাড়বে।’

এসব কাজও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলেও জানান নৌপরিবহন সচিব মো. আব্দুস সোবহান।

তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে এ লক্ষ্যে যে রোড কানেকটিভিটির কাজ চলছে, তার জন্য ডিটেইল মাস্টার প্লান হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্লান বাস্তবায়নে বুয়েট নিয়মিতভাবে কাজ করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ড্রেজিং। ২৫ কিলোমিটার ড্রেজিং হবে চ্যানেলের ভিতরে এবং ৪৫ কিলোমিটার ড্রেজিং হবে সমুদ্রের ভিতরে। তবে সমুদ্রের ভিতরে ড্রেজিং করার অভিজ্ঞতা আমাদের সেভাবে নেই। এজন্য টেকনিক্যাল-ফিনানসিয়াল কাজ আমরা ইতোমধ্যে ভারতের সঙ্গে সমন্বয় করেছি। আমাদের মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি কাজ করছে। কমিটিকে সহযোগিতার জন্য আমরা নেদারল্যান্ডের রাহান কোম্পানির সঙ্গেও কাজ করছি। সমুদ্র ড্রেজিং এর ক্ষেত্রে প্রায় ৯০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে কোম্পানিটির।’

‘প্রাথমিকভাবে বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে ৮৭০ মিলিয়ন ইউরো খরচ ধরা হয়েছে। তবে পরে এর পরিমাণ বাড়বে।’

তিনি জানান, মংলা বন্দরে মাটি ভরাট করে টার্মিনাল এবং শেখ হাসিনা রোডসহ সব ধরনের রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখানে প্রায় তিন হাজার ৫০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সম্মানজনকভাবে পাকা বাড়ি করে দেওয়া হবে। ঘর নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যদের বিভিন্ন কারিগরি ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে, যেন তারা নিজেরা নিজেদের জীবন যাপনে ভূমিকা রাখতে পারেন।

(ঢাকাটাইমস/০৭অক্টোবর/ এমএম/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :