সড়কে ভুল করলে জীবন শেষ: ইলিয়াস কাঞ্চন
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক শিক্ষার্থী কর্মশালা রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।
কর্মশালা পরিচালনা করেন নিসচা মহাসচিব সৈয়দ এহসান উল হক কামাল। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রিার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান সুবহানী (অব.)।
ইলিয়াস কাঞ্চন শিক্ষার্থীদের সচেতন নাগরিক হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘তোমরা আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে তাই আগে নিরাপদ সড়ক সম্পর্কে তোমাদের বেশি ধারণা থাকতে হবে। এজন্য নিজেদের আগে সচেতন হতে হবে, তবেই অন্যকে সচেতন করতে পারবে। তোমাদের হাতে দেশের ভবিষ্যৎ, তোমাদেরকে দেশের আইন, নিয়ম-কানুন বিশেষ করে সড়কে চলার, যানবাহন ব্যবহার করার নিয়ম কানুন জানতে হবে, মানতে হবে। নিজে সচেতন হতে হবে, পরিবারের এবং প্রতিবেশীদের সচেতন করতে হবে।’
‘যেখান সেখান দিয়ে রাস্তা পারাপার হওয়া যাবে না, রেলিং টপকানো যাবে না, যারা বাবার মোটরসাইকেলে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত কর, কিন্তু হেলমেট ব্যবহার কর না তারা আজই আমার সালাম দিয়ে বাবাকে বলবে হেলমেট কিনে দিতে।’
কর্মশালার আয়োজন করায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এবং নিসচা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ টিমকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, শুধু জ্ঞান থাকলেই সব কিছু হয় না, যদি সেটার যথার্থ প্রয়োগ নিশ্চিত করা না যায়। অনেক দার্শনিকই ভুল করে শিক্ষা গ্রহণ করেন, কিন্তু সড়ক এমন একটি জায়গা যেখানে ভুল করলে আর সেটা থেকে শেখার আর সুযোগ থাকে না। এখানে সামান্য ভুল করলেই আপনার জীবন শেষ। সামান্য একটা রাস্তার এপার থেকে ওপার যাওয়ার জন্য আমাদের জীবন শেষ করে দিই। জীবনটা কিন্তু এতটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য নয়।
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আপনারা কতটুকো আইন মানেন নিজেকে একটু প্রশ্ন করেন, তাহলে উত্তর পেয়ে যাবেন। তাই পেছনে ভুল করেছেন সেটা আর মনে না করে এখন থেকে আইন মানবেন সেটার ওয়াদা দেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে আজ আমাদের মাঝে পেয়ে আমরা আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। তিনি যখন এ আন্দোলন শুরু করেন তখন মানুষ খুব একটা সচেতন ছিল না, গাড়ির সংখ্যা অনেক কম ছিল, কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার, নিহতের ও আহতের সংখ্যা অনেক কম ছিল। তিনি এবং তার নিবেদিত কর্মীবাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টার ফলে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত আহতের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। এ অবদান নিরাপদ সড়ক চাই প্রতিষ্ঠানের। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। একাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৭অক্টোবর/এসআর/জেবি)