গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে ঘিরে নাশকতার সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৩২

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার রায়কে ঘিরে কোনো নাশকতার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। তারা কোনো ধরনের নাশকতা পছন্দ করেন না।

সোমবার বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে কোরিয়া ও বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে মাদক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কাউকে হয়রানির কোনো সুযোগ নেই। কাউকে অহেতুক হয়রানি করা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে মাদক তৈরি করি না। কিন্তু আমরা অ্যাফেক্টেড হচ্ছি। মাদক সমস্যার ভয়াবহতা বিবেচনায় এনে বহু কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবল বাড়িয়েছি। জনবল বৃদ্ধির প্রয়োজনে যা যা করা দরকার, তাই করছি। কোরিয়া আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। তাদের কোয়িকা মাদকের আগ্রাসন থেকে রেহাই পেতে ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের অনেক সহযোগিতা করছে। কোয়িকার অর্থায়নে মাদকবিরোধী প্রজেক্ট তৈরি হয়েছে, যা টেলিভিশনে প্রচার করা হবে। এ প্রজেক্টে শুরু থেকে কোয়িকা’র নানা ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি ।’

‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের কাজ অনেক। আসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের কাজ চলছে। ২৬৫টি বেসরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্র করে অধিদপ্তরের আওতায় আনা হয়েছে। দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণ সরকারের একটি বড় সাফল্য। আমরা সবাই জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে মাদককে পুরোপুরি নির্মূল করব।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বমূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আরেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। যৌথভাবে বাংলাদেশ-কোরিয়া এ প্রকল্পে বাস্তবায়নে কাজ করছে। ৩৭ কোটি টাকার প্রকল্পের মধ্যে ৩০ কোটি টাকা দিচ্ছে কোরিয়ার সরকার। যেসব মেশিন দেওয়ার কথা ছিল, তার অধিকাংশই আমরা হাতে পেয়েছি। মাদক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে এটি যুগান্তকারী কাজ হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের সকল অফিসকে নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসব এবং আমরা অনলাইনে সেবা দিতে পারব। মামলা ব্যবস্থায় বিশেষ সফটওয়্যার ডেভেলপ করে আমাদের প্রসিকিউশনকে আরো শক্তিশালী করতে পারব।’

এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর শক্তিশালী সংস্থায় পরিণত হচ্ছে। প্রকল্পের কাজে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আরো এগিয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মহাপরিচালক।

(ঢাকাটাইমস/০৮অক্টোবর/এএ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :