অপারেটর বদল: জিপি ছাড়তে আগ্রহ বেশি

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:২৭

১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে চালু হয়েছে মোবাইল নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তনের সুযোগ। প্রথম পাঁচ দিনে চার হাজার ১৮১ জন গ্রাহক অপারেটর বদল করেছেন। এর মধ্যে বেশি অপারেটর বদল করেছেন গ্রামীণফোনের গ্রাহক। তারা অপারেটর বদলিয়ে রবিতে গিয়েছেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের(বিটিআরসি) দেয়া পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানা গেছে।

বিটিআরসির পরিসংখ্যান বলছে, ১ অক্টোবর থেকে প্রথম পাঁচ দিনে অপারেটর বদল করার জন্য মোট আবেদন এসেছে ১০ হাজার ১২২টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে চার হাজার ১৮১টি এবং বাতিল হয়েছে পাঁচ হাজার ৮৬২টি।

সবচেয়ে বেশি অপারেটর বদল করেছে গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা। পাঁচ দিনে গ্রামীণফোনের মোট চার হাজার ৬১৬ জন গ্রাহক অপারেটর বদলের আবেদন করেছে। এর মধ্যে সফল হয়েছে এক হাজার ৮৩৪টি এবং বাতিল হয়েছে দুই হাজার ৭৮২টি।

গ্রামীণফোন থেকে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক গিয়েছে রবি আজিয়াটাতে। গ্রামীণফোন থেকে রবিতে মোট আবেদন এসেছে এক হাজার ৭৭০টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে এক হাজার ৩৫৬টি এবং বাতিল হয়েছে ৪১৪টি।

গ্রামীণফোন থেকে বাংলালিংকে মোট আবেদন করেছে এক হাজার ২৪১টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে ৪৫০টি এবং বাতিল হয়েছে ৭৯১টি। গ্রামীণফোন থেকে টেলিটকে আবেদন করেছে ৪৪ জন গ্রাহক। এর মধ্যে সফল হয়েছে ২৮টি এবং বাতিল হয়েছে ১৬টি।

সবচেয়ে কম অপারেটর বদল করেছে সরকারি অপারেটর টেলিটকের গ্রাহকরা। পাঁচ দিনে মোট ৭০৯ জন গ্রাহক অপারেটর বদলের জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে সফল হয়েছে ১৩০টি এবং বাতিল হয়েছে ৫৭৯টি।

সবচেয়ে বেশি অপারেটর বদলের আবেদন পেয়েছে রবি। পাঁচ দিনে রবির কাছে মোট আবেদন এসেছে পাঁচ হাজার ৮৯১টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে দুই হাজার ৩৪১টি এবং বাতিল হয়েছে তিন হাজার ৫৫০টি।

রবিতে গ্রামীণফোন থেকে এসেছে এক হাজার ৩৫৬ জন গ্রাহক, বাধাগ্রস্থ হয়েছে এক হাজার ৯৭৫ জন। বাংলালিংক থেকে এসেছে ৯২৬ জন গ্রাহক, বাধাগ্রস্থ হয়েছে এক হাজার ২৫৩ জন। টেলিটক থেকে এসেছে ৮২ জন গ্রাহক, বাধাগ্রস্থ হয়েছে ৩২২ জন।

নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের খরচ ট্যাক্স ও ভ্যাট বাবদ খরচ হবে ১৫৮ টাকা। একবার অপারেটর পরিবর্তন করে অন্য অপারেটরে গেলে কমপক্ষে ৯০ দিন থাকতে হবে। প্রতিবার অপারেটর পরিবর্তনের সময় নতুন সিম নিতে হবে।

দেশে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি বা এমএনপি সেবা চালুর লাইসেন্স পেয়েছে বাংলাদেশ ও স্লোভানিয়ার যৌথ কনসোর্টিয়াম ‘ইনফোজিলিয়ান বিডি টেলিটেক কনসোর্টিয়াম’। বিটিআরসির শর্ত অনুযায়ী অপারেশন চালুর পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের মোবাইল গ্রাহকদের মধ্যে ১ শতাংশ, এক বছরের মধ্যে ৫ শতাংশ এবং ৫ বছরের মধ্যে ১০ শতাংশ গ্রাহককে এই সেবার আওতায় আনতে হবে।

এছাড়াও এমএনপি গাইডলাইনের শর্তানুযায়ী, বাৎসরিক লাইসেন্স ফি ২৫ লাখ টাকা, রেভিনিউ শেয়ারিং ১৫ শতাংশ হারে এবং সামাজিক দায়বদ্ধ তহবিলে বাৎসরিক নীরিক্ষাকৃত আয়ের ১ শতাংশ বিটিআরসিকে দিতে হবে।

বর্তমানে বিশ্বের ৭২ টি দেশে এই সেবা চালু রয়েছে। প্রতিবেশি দেশ ভারতে ২০১১ সাল থেকে, পাকিস্তানে ২০০৭ সাল থেকে এই সেবা চালু রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :