জগন্নাথের ক্যাম্পাসের জন্য দুই হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:১০ | প্রকাশিত : ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:২১

দেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনে প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকার প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়।

পরে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলোর বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান।

১৮৬৮ সালে পথ চলা শুরুর পরে ‘জগাবাবুর পাঠশালা’ এখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এরই মধ্যে দেড়শ’ বছর অতিক্রম করার পরেও নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত উচ্চ শিক্ষার এ প্রতিষ্ঠান।

আবাসিক হলসহ নানা দাবির মধ্যে নতুন ক্যাম্পাসের দাবিতে দীর্ঘদিন থেকেই আন্দো্লন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। গত ৮ অক্টোবর একটি ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে নতুন ক্যাম্পাসের দাবিতে সমাবেশও করে তারা।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিক ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে সরকার ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদি মৌজায় প্রায় ২০০ একর ভূমির উপর নতুন ক্যাম্পাস নির্মানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

এর আওতায় মাস্টারপ্লান অনুযায়ী নতুন ক্যাম্পাসে একাধিক একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থা, চিকিৎসা কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, খেলার মাঠ, সুইমিং পুল, মসজিদ এবং পরিবহণ ও আধুনিক বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

প্রকল্প অনুমোদিত হওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তারিক ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শিক্ষার্থীরাও সামাজিক মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। জবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান নাবিল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল এই নতুন ক্যাম্পাস। একজন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আবাসিক হল আমাদের জীবন ধারনের মৌলিক চাহিদারও একটি অংশ। এই প্রকল্প অনুমোদন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও উপাচার্য মীজানুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগগের ১১ তম ব্যাচের মেহরাজ তাবাসসুম শৈলী ঢাকাটাইমসকে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী হিসেবে এই প্রকল্প পাস হওয়ায় আনন্দিত হয়েছি। ছোট ক্যম্পাসে পুরান ঢাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। নতুন ক্যাম্পাসে আমরা ক্যাম্পাসের পাশাপাশি আবাসিক সুবিধা পাবো। স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়া দাওয়া করার সুযোগ নেই শিক্ষার্থীদের।’

‘সম্প্রতি নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোখলেসুর রহমান নিরব মারা গেছেন তার উদাহরণ দিতে পারি। হল থাকলে নিশ্চয় তার এমন পরিণতি হত না। আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের নতুন ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হব।’

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিতার বিভাগের শিক্ষার্থী নুরে জান্নাত বিনতে নাহার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আবাসিক হল না থাকায় মেয়েদেরই বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল না থাকায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কম। নতুন ক্যাম্পাস হলে জবিতে মেয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।’

ঢাকাটাইমস/০৯অক্টোবর/আইএইচ/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :