২১ আগস্টের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৫৩
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নৃশংসতম। প্রায় দেড় দশক আগে সংঘটিত হওয়া নারকীয় সেই হামলা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে আজ।

তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলটির সিনিয়র নেতাদেরকে হত্যা করে দেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীনতম এই দলটিকে নেতৃত্বশূন্য করাই ছিল বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার মূল লক্ষ্য। তবে ট্রাকের মঞ্চে সিনিয়র নেতাদের মানবঢাল তৈরি করা এবং নেতাকর্মী ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরা প্রাণ দিয়ে রক্ষা করেন তাদের নেত্রীকে। কিন্তু গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেদিন বেঁচে গেলেও ওই হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন কয়েক শ জন।

আইভি রহমান ছাড়াও বর্বরোচিত ওই হামলায় যারা নিহত হন তারা হলেন-শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ল্যান্স কর্পোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ, আবুল কালাম আজাদ, গ্রেনেডের স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন যন্ত্রণা ভোগের পর মৃত্যুবরণ করেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ, আওয়ামী লীগের কর্মী রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারী, আমিনুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুনশী, হাসিনা মমতাজ রিনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম, মোশতাক আহমেদ সেন্টু, আবুল কাশেম, মোমেন আলী, এম শামসুদ্দিন, ইসাহাক মিয়া এবং জাহেদ আলী। বাকি একজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

এছাড়া আহত হন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, সাহারা খাতুন, এএফএম বাহাউদ্দিন নাছিম, নজরুল ইসলাম বাবু, আওলাদ হোসেন, মাহবুবা পারভীন, উম্মে রাজিয়া কাজল, নাসিমা ফেরদৌস, শাহিদা তারেক দীপ্তি, হামিদা খানম মনি এবং রাশেদা আখতার রুমাসহ আওয়ামী লীগের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।

ভয়াবহ ওই হামলার ষড়যন্ত্রে গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ বাহিনীর কয়েকজন সদস্য অংশ নেন। তারা মামলার আলামত নষ্ট, মামলা না নেওয়া এবং হামলার গোয়েন্দা তথ্য থাকার পরও শেখ হাসিনার নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেননি। এমনকি মামলাটির তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে জজ মিয়া নাটক তৈরি করেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওই সদস্যরা।

২০০৪ সালের ওই ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়। একটি হত্যা ও অপরটি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলা। জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে দুটো মামলাই তদন্তে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলা অধিকতর তদন্তে যায়।

৫২ জন আসামির মধ্যে তিনজনের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ৪৯ জন। হামলার ঘটনার প্রায় দেড় দশক পর আজ মামলাটির রায় ঘোষণা করা হবে।

ঢাকাটাইমস/১০অক্টোবর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি শুরু

ঢাকায় কর দিয়ে ২৬৮০ বিয়ে 

সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যেও সংখ্যায় এগিয়ে ব্যবসায়ীরা: সুজন

মানবাধিকার ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: ড. কামাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :