খালেদার নাইকো মামলায় চার্জ শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর

ফাইল ছবি

নাইকো দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ৮ নভেম্বর পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহমুদুল কবীরের আদালত আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন পিছিয়ে দেন।

মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় সময়ের আবেদন জানান তার আইনজীবীরা।

মামলাটিতে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রোডাশকন ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ) ইস্যু করেছিলেন একই আদালত। 

সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, বিতর্কিত ব্যবসায়ী তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হকও মামলাটির আসামি।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর প্রথম হাইকোর্ট থেকে জামিন পান খালেদা। 

২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল খারিজ ও মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করলে পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে ফের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।  

এরপর হাইকোর্টের আদেশে ওই বছরের ২৯ নভেম্বর খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা মঞ্জুর করেন একই আদালত ।

 (ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/জেডআর/এআর )