‘এসডিজি অর্জনে ডিমের উৎপাদন বাড়াতে হবে’

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

স্বল্প আয়ের মানুষ ডিম খেলে অপুষ্টির হার কমে যাবে। আর এসডিজি অর্জনে ডিমের উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ, এসডিজি অর্জনে মাথাপিছু ১০৪টি ডিম দরকার।

এমন তথ্যই উঠে এসেছে বিশ্ব ডিম দিবসের আলোচনা সভায়। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ওই সভায় পোল্ট্রির নানাবিধ উপকারিতার কথা তুলে ধরা হয়। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।  

আলোচনা সভায় জানানো হয়, স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে বেশি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে দেশের অপুষ্টির চিত্র আমূল পাল্টে যাবে। এর মাধ্যমে সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।জনগণের মাঝে এ বিষয়ে সচেতনতা গড়তে সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমকে কাজে লাগানোরও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বলেন, ডিম খাওয়ার কোনো বয়স নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই ডিম খেতে পারেন। প্রান্তিক খামারিদের জন্য সিঙ্গেল ডিজিটে ক্ষুদ্রঋণ এবং কৃষি রেটে বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা ভাবছে সরকার। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশনের আদলে বাংলাদেশেও এগ কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়ে নকল ডিম উৎপাদন বিষয়ে হীরেশ রঞ্জন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সাল নাগাদ যে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে ডিমের মাথাপিছু কনজাম্পশন দ্বিগুণ করতে হবে। প্রত্যেক মানুষকে দৈনিক অন্তত: একটি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস ও আর্থিক সক্ষমতায় উন্নীত করতে হবে।

বিপিআইসিসি’র সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, চাল, চিনি, দুধ, আটা এমনকি লবণের বিজ্ঞাপনও গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। কিন্তু সাধারণত ডিমের কোনো বিজ্ঞাপন দেখা যায়না আমাদের দেশে। ডিম বিক্রি থেকে যে লাভ পাওয়া যায় তা দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের খরচ বহন করা সম্ভব হয়না। এ কাজে তথ্য মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, ডিমের চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। হাউসহোল্ড ইনকাম এন্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১০-২০১৬ মেয়াদে ডিমের মাথাপিছু কনজাম্পশন ৭.২ গ্রাম থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩.৫৮ গ্রাম। এই মেয়াদে গরুর গোশতের কনজাম্পশন ১০ শতাংশ ও মাছের কনজাম্পশন ২৬ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু ডিমের কনজাম্পশন বেড়েছে ৮৮ শতাংশ।

এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে সিরডাপ মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।

বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে দেশের সবক’টি বিভাগীয় শহরে পোল্ট্রি শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা করা হয়েছে। বেশকিছু জেলা শহর ও উপজেলা সদরেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পেশাজীবী সংগঠনের সহযোগিতায় ডিম দিবস উদযাপিত হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১২অক্টোবর/জিএম/এআর)