তারেক রহমানের সর্বোচ্চ সাজা চায় নেদারল্যান্ড আ.লীগ

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৫০

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মাদ শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পদক মুরাদ খান এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ২১ আগস্টের হামলায় মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ সাজায় দণ্ডিত করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতিরজনক হত্যার সাথে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন আর  তিনি খুনিদের রক্ষা করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না বলে আইন পাস করেছিলেন। আর তারই বিধবা স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সন্তান তারেক রহমান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দল আওয়ামী লীগ চিরদিনের জন্য ধ্বংস করার জন্য বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রায় এক বিভীষিকাময় ভয়াল গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল ২৪ আগস্ট ২০০৪ সালে। প্রাণ দিতে হয়েছিল আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা আইভি রহমান, মোস্তাক আহমেদ সেন্টুসহ ২৪ জন ও আহত হয়েছিলেন পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আইয়ুব খানের প্রেতাত্মারা দেশ বিরোধীদের নিয়ে বারবার আওয়ামী লীগের উপর আক্রমণ চালিয়ে প্রমাণ করে এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, সেইদিন বেগম জিয়া ও তারেক রহমান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নেতৃত্বশূন্য করতেই ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিল।

নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ সরকার ও আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার আগামী দিনে ‘নৃশংস ও ন্যক্কারজনক’ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব।

নেতৃবৃন্দ আদালতের এ রায় দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নারকীয় গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১৯ জনের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। এছাড়াও যারা পলাতক রয়েছেন তাদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।

যৌথ বিবৃতিতে সাক্ষর করে একমত পোষণ করেন- আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খান, উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি ইসমাইল হোসাইন, সদস্যবৃন্দরা হলেন- বুলবুল জামান, জসিম উদ্দিন লিটন, মোন্নাফ জামাল, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শামীম (নান্টু মৃধা), সহ-সভাপতি জাকিরুল হক টিপু, সহ-সভাপতি সালমা ইব্রাহিম, সহ-সভাপতি অপরুল মানিক, সহ-সভাপতি টুকু খান, সহ-সভাপতি নাসিম খান অভি, সহ-সভাপতি মাসুদ রহমান, সহ-সভাপতি আসিয়ান মেনন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম স্বপন, প্রচার সম্পাদক জসিম মৃধা, উপ-প্রচার সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ, মহিলা সম্পদিকা কামরুন নাহার বীথি, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক নিপেন মল্লিক, জনসংযোগ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সহ-জনসংযোগ সম্পাদক সম্রাট মৃধা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাসুদুর রহমান ছোট, কোষাধ্যক্ষ বাবুল মিয়াসহ সম্মানিত সদস্যবৃন্দরা হলেন- সৈয়দ ওয়াফি বিন দেলোয়ার, শেখ গিয়াস উদ্দিন রাজু, সোনালী শেখ, রেবেকা ওয়াফি, এ জুয়েল, এস আলম, মৌলভী দিন মুহাম্মাদ, জাহিদ হোসেন, মাহবুবুল খান, মিহির, হৃদয় চৌধুরী।

আওয়ামী লীগ নেত্রী ফেরদৌসী আখতার, মোহাম্মদ কামাল, বোরহান উদ্দিন, রনি ঘোষ, সোলায়মান সরদার, মোহাম্মদ আবরাম, আল শাহরিয়ারজ, শাকিল আহমেদ, মুহাম্মদ রহমান, হামিদ ও আব্দুর রহমানসহ আরো অনেকে।

(ঢাকাটাইমস/১২অক্টোবর/সিকে/এলএ)