প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করেছেন তিন মন্ত্রী: সম্পাদক পরিষদ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নয়টি ধারা নিয়ে আপত্তির বিষয়ে তিন মন্ত্রী সম্পাদক পরিষদকে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন পরিষদ নেতারা। আইনটি সংশোধনে ৬ দফা দাবিতে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে সম্পাদক পরিষদ।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সম্পাদক পরিষদের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
শ্যামল দত্ত বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারার বিষয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে সম্পাদক পরিষদ। আইনমন্ত্রীসহ সরকারের তিন মন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। তারা (মন্ত্রী) সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগের কথা শুনে আপত্তিকর ধারাগুলো বাদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা সেই অঙ্গীকার বরখেলাপ করেছেন। যেটি আইনটি পাশ হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে।’
শ্যামল দত্ত বলেন, ‘আইনমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেছিলেন, সাংবাদিকদের উদ্বেগের কোনো বিষয় এই আইনে থাকবে না। কিন্তু কোনো সংশোধন না এনে বিলে সাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকে এর বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। তাদের আপত্তির সুরাহা না করেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদে ওই আইন পাস করা হয়।
এদিকে ডিজিটাল আইনের ৯টি ধারা সংশোধনের বিষয়ে ৬ দফা দাবিতে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে সম্পাদক পরিষদ।
সংসদের শেষ অধিবেশনে আইনটির সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধনের দাবি জানান সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আনাম।
তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেছিলেন, বাক স্বাধীনতা বিরোধী বিতর্কিত ধারারগুলোর সংশোধন প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তুলে ধরা হবে। কিন্তু তার কিছুই না করে আইনটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
আইনটি সংশোধন না করা পর্যন্ত কাউকে হয়রানি না করার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। এছাড়া উচ্চ আদালতের অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমের কম্পিউটার বন্ধ করা এবং মামলা তদন্তে প্রেস কাউন্সিলকে রাখার দাবি জানানো হয়।
এ অবস্থায় জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে আইনের আপত্তিকর ধারাগুলো সংশোধনের দাবি করছে সম্পাদক পরিষদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, কালের কন্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম প্রমুখ।
ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/ডিএম