‘রাজধানীতে চুক্তিভিত্তিক বাস চালক নিয়োগ বন্ধ হচ্ছে’
রাজধানীতে চুক্তিভিত্তিক বাস চালক নিয়োগ বন্ধ করা হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে পরিবহন মালিকরা এই প্রক্রিয়ায় বাসচালক নিয়োগ দেবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এতে সড়কে চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা কমে আসতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।
শনিবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রধান আছাদুজ্জামান মিয়া।
পরিবহন মালিক সমিতি আগামী এক মাসের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক বাস চালক নিয়োগ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সড়কে গাড়ি চালানোর সময় চালকরা যে প্রতিযোগিতা করেন সেটা বন্ধ করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক চালক নিয়োগের সিস্টেম বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে মালিক এবং শ্রমিকদের সাথে কথা বলেছি। তারা বলেছেন এক মাসের মধ্যে এ চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ হবে।’
এর আগে কৃষিবিদ মিলনায়তনে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে নিয়ে আলোচনার আয়োজন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ সময় শিক্ষাবিদ, চলচ্চিত্র অভিনেতা, নাট্যজন, ক্রিকেট তারকারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ডিএমপি কমিশনার দুর্গাপূজার পর আবারো ট্রাফিক সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করা হবে এবং এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান।
‘সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য অপরিকল্পিত নগরায়ন দায়ী’
সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য অপরিকল্পিত নগরায়ন ও ট্রাফিক আইন না মানার সংস্কৃতিই দায়ী উল্লেখ করে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কেউ কেউ ট্রাফিক আইন মানতে চায়না। উল্টোপথে গাড়ি ব্যবহার করে। যদি দায়িত্বশীলরাই আইন না মানে তাহলে সাধারণ নাগরিকদের আইন মানাতে চাওয়া কষ্টসাধ্য।’
সবাইকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে কমিশনার বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। যারাই ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করবে তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ছাত্রদের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, যে ছাত্ররা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আন্দোলন করেছিলো তারাও এখন আইন মানছে না।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর নিহত হবার ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচী পালন করে এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন করে।
এ প্রেক্ষিতে ডিএমপি ৫ আগষ্ট থেকে ৭ দিন ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করে। পরে সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে আবারও ট্রাফিক কর্মসূচি পালন করে ডিএমপি। মাসব্যপী এ কর্মসূচী চলাকালে, ট্রাফিক আইন অমান্য করায় এক মাসে প্রায় ৭ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও অনেক গাড়িকে ডাম্পিংয়ে পাঠানোসহ রেকারিং করা হয়।
এদিকে ট্রাফিক সচেতনতার লক্ষ্যে দুপুরে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও ডিএমপির কর্মকর্তারা অংশ নেন।
ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/ডিএম