আগামী সংসদ নির্বাচনে আশার আলো দেখছে সাতক্ষীরা সদরবাসী

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ২২:৪৬ | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:০৩

কাওসার মাহমুদ

স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সাতক্ষীরা-২ সদর আসনের জনগণ তথা সাধারণ ভোটাররা স্বাধীনতার সপক্ষের একজন সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে নিয়ে আগামী নির্বাচনে আশার আলো দেখছেন। তিনিই পারবেন সদরবাসীকে স্বাধীনতাবিরোধীদের কবল থেকে উদ্ধার করতে; এমনটিই মনে করছেন এখানকার সাধারণ মানুষ। এজন্য মনে-প্রাণে তারা আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমন প্রার্থী প্রত্যাশা করছেন।

জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত টানা প্রায় পাঁচ দশকের ব্যবধানে এখানে কখনো সকল দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করতে পারেনি। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া নির্বাচিত হলেও এলাকায় উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি। এছাড়া এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে পারেনি। এখনো এ আসনটি জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে জানা যায়। এখানে জামায়াত ও বিএনপিকে বিভিন্নভাবে কোণঠাসা করে রাখলেও ভোটের মাঠে ভিন্নচিত্র দেখা যায়। এবারও সেই বাস্তবতাকে ধারণ করে হিসাব-নিকাশ চলছে সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসন নিয়ে। এ আসনে আওয়ামী লীগ জোটের হাফ ডজন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। ক্ষমতাসীন জোটের এসব নেতা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় ফেস্টুন, ব্যানার ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচারে নামলেও এখানকার সাধারণ ভোটাররা মনে-প্রাণে চাইছে একজন ধর্মীয় মূল্যবোধের আদর্শে গড়া সৎ, যোগ্য ও স্বাধীনতার সপক্ষের একজন মানুষকে।

সদরবাসীর সেই আশার আলো ড. কাজী এরতেজা হাসান। যিনি একাধারে ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, একজন সফল ব্যবসায়ী নেতা, সম্পাদক, রাজনীতিক ও স্বাধীনতার সপক্ষের ধর্মীয় মূল্যবোধে গড়া একজন মানুষ। আগামী নির্বাচনে তাকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চায় এখানকার সাধারণ ভোটার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

এলাকার সাধারন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ড. কাজী এরতেজা হাসান সাতক্ষীরার বেকারত্ব দূরীকরণে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায় থেকে গণমানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে। এলাকার তরুণ ও যুবসমাজের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অসহায় মানুষকে ব্যক্তি উদ্যোগে সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। সর্বমহলে তার সুনাম ও পরিচিতি রয়েছে। দলের হাইকমান্ড তাকে মনোনয়ন দিলে সততার সঙ্গে উন্নয়ন কর্মকা-ের মাধ্যমে জেলার কাক্সিক্ষত উন্নয়ন করে সামনে এগিয়ে নিতে পারবেন। ক্লিন ইমেজ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে জীবনযাপন করার কারণে তিনি সব মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানান। দলের হাই কমান্ডেও রয়েছে তার শক্তিশালী যোগাযোগ ও অবস্থান।

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, অনেকদিন পরে আওয়ামী লীগ থেকে একজন ধর্মপ্রাণ নেতা আমাদের মাঝে এসেছেন। যিনি কয়েক বছরে সাতক্ষীরাবাসীর বিভিন্নভাবে মন জয় করেছেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। তিনি এফবিসিসিআই পরিচালক ও দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির নেতাও। এই এলাকার মানুষগুলো ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী থাকা সচেতন নাগরিকও। ঠিক সে কারণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তিকে রুখতে ড. এরতেজার ওপরে মানুষগুলো আস্থা রাখতে শুরু করেছে।

এককথায় জামায়াত, বিএনপিকে হারাতে তার মতো নেতাকেই এই মুহূর্তে দরকার বলে এলাকাবাসী মনে করছে। এলাকার মানুষগুলোর কাছে তিনি সুফি সত্তা হিসেবেই দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে একজন সৎ ও যোগ্য মানুষ হিসেবে পরিচিত। এই আসনের প্রার্থীদের মধ্যে সর্বাধিক পরিচ্ছন্ন ইমেজের অধিকারী হিসেবে তিনি ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাকে ঘিরে সদর আসনের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আশার আলো দেখছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।