‘আরবের বুকে ছোট্ট ইউরোপ’

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৪১

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
চোখ ধাঁধাঁনো দুবাই শহর

আরব আমিরাতের অন্যতম শহর দুবাই। বহুজাতিক জনগোষ্ঠীর অধিবাস। চার হাজার কিলোমিটার আয়তনের শহরে ৩২ লাখ মানুষ বাস করে। দুবাই শহরে আমিরাতি জনগণের তুলনায় বিদেশি মানুষ বেশি। ৪৩ শতাংশ মানুষ ভারতীয়। অপর দিকে আমিরাতি মানুষ মাত্র ২৩ শতাংশ। বাংলাদেশি মানুষের সংখ্যা ৭ শতাংশ। দুবাই বিমানবন্দর পৃথিবীর ১০তম ব্যস্ত বিমানবন্দর। বছরে প্রায় দেড় কোটি যাত্রী দুবাই বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকে।

গগনচুম্বি স্থাপনা, আল্ট্রা মডার্ন স্থাপত্য, ফ্রি পোর্ট, লাক্সারি ব্যসায়িক মল, প্রশস্ত সড়ক, ট্রাম ও মেট্রো রেল, সড়ক ব্যবস্থাপনা, আধুনিক বাস, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য, প্রযুক্তির ব্যবহার, আইনের কঠোর প্রয়োগ, নাগরিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিচ্ছন্নতা দুবাইর বিশিষ্টতা। সর্বত্র ইউরোপীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া। মনে হয় না পশ্চিম এশিয়ার কোন দেশ। পোশাক পরিচ্ছদ ও চলা ফেরায় কোনো বিধি নিষেধ নেই। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির উদাম হাওয়া যেন ধীরে ধীরে আরব সংস্কৃতি ও ইসলামি ঐতিহ্যকে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

মসজিদগুলোর স্থাপনা ও অভ্যন্তরীণ নির্মাণশৈলী বেশ দৃষ্টিনন্দন। কিছু কিছু মসজিদে রয়েছে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়। দেরা দুবাইতে অবস্থিত জারোয়ানি মসজিদে দেখেছি ফজরের জামায়াতেও মুসল্লি দ্বারা মসজিদ ভর্তি।

ইতোমধ্যে আমি পাম জুমেইরা, সমুদ্র সৈকত, মেরিনা, দুবাই মল, দুবাই ফোয়ারা, বুর্জ খলিফা, কোর্নিশ, আল মামযার পার্ক, সিফ্রন্ট মার্কেট পরিদর্শন করি।

লেখক: অধ্যাপক, ওমর গণি এম.ই.এস কলেজ, চট্টগ্রাম