রাজশাহীতে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৫২

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

দুর্গাপূজার মণ্ডপের সাজসজ্জায় প্রতিবছরই ব্যতিক্রমই আয়োজন থাকে রাজশাহীর টাইগার সংঘের। নগরীর রানীবাজার এলাকার এ মণ্ডপ দেখে অভিভূত হন সবাই। এবার টাইগার সংঘের পূজামণ্ডপে ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। আয়োজকরা বলছেন, দেশের অর্জন ফুটিয়ে তুলতেই এই আয়োজন।

টাইগার সংঘ গতবছর ভারতের জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা ‘বাহুবলীর’ পোস্টারের আদলে মণ্ডপ সাজিয়েছিল। এর আগের বছর ক্রিকেটে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অবদানকে স্মরণ করে বাঘের মুখের আদলে সাজিয়ে ছিল মণ্ডপ। আর এবার সাজানো হয়েছে বাংলাদেশের সব থেকে বড় অর্জন স্যাটেলাইটের আদলে।

সংঘের সাধারণ সম্পাদক পার্থ পাল চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর আদলে পূজামণ্ডপ সাজানোর একমাত্র উদ্দেশ্য হলো- আমরা আমাদের দেশের অর্জনকে তুলে ধরতে চেয়েছি। পার্থ বলেন, ছোট ছোট বাচ্চারা এখনও স্যাটেলাইট সম্পর্কে ভালোভাবে জানে না। এই মণ্ডপ তাদের সে ব্যাপারে আগ্রহ তৈরি করবে। শিশুরা কৌতুহলী হয়ে স্যাটেলাইট সম্পর্কে জানবে।

টাইগার সংঘের সদস্য পলাশ রায় বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমরাও এগিয়ে যাচ্ছি। এর একটা প্রচার হিসেবে এই পূজামণ্ডপের পুরো প্যান্ডেল এভাবে সাজানো হয়েছে। বাংলাদেশ ভালো কিছু করেছে, সেটিকে স্বাগত জানিয়েই সবার সামনে তুলে ধরতে চেয়েছি। দিনের চেয়ে রাতে এই মণ্ডপ পুরোপুরি ফ্যালকন-৯ এর রকেট, স্যাটেলাইট এবং উপগ্রহ কেন্দ্র বেশি ফুটিয়ে তুলছে।

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী স্বপন কুমার তালুকদার তার ছোট নাতনিকে পূজা মণ্ডপ দেখাতে নিয়ে এসে বললেন, এটি চমৎকার একটি উদ্যোগ। বিজ্ঞান মেলা বা কোনো প্রদর্শনীতে এতো বড় পরিসরে এমনভাবে দেখানোর সুযোগ থাকে না, আর সেখানে সবাই যেতেও পারে না। এটি সর্বসাধারণের আসার জায়গা। এটি দেশের অর্জনকে যেমন তুলে ধরছে তেমনি মণ্ডপের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে।

দাওকান্দি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বুলবুল এসেছিলেন মণ্ডপ দেখতে। তিনি বলেন, স্যাটেলাইট সম্পর্কে আমার যে ধারণা ছিল এমন দৃশ্যমান চমৎকার একটি সাজসজ্জা দেখে আমি অভিভূত। অনেক ছবি তুলেছি। বন্ধুদের দেখাতে চাই। তারপর বন্ধুদের নিয়ে আবার আসতে চাই।

টাইগার সংঘ ৩৭ বছর ধরে এখানে পূজো করে আসছে। প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে সাজানো হয়েছে এই পূজো মণ্ডপ। আয়োজকরা জানান, ধর্নাঢ্য কিছু ব্যক্তি প্রতিবছরই মণ্ডপ সাজাতে অর্থ সহায়তা করেন। বরাদ্দ থাকে সিটি করপোরেশন থেকে। আর সরকারি অনুদান হিসেবে এ বছর ১০০ কেজি চালও বরাদ্দ হয়েছে। বাকি টাকা দিয়েছেন মণ্ডপ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।

এভাবেই চমৎকারভাবে এই মণ্ডপ সাজানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭অক্টোবর/আরআর/এলএ)