নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণের শর্ত শিথিল

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ২১:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো তাদের বসতঘর সরিয়ে নিচ্ছে (ফাইল ছবি)

শরীয়তপুরের নড়িয়াসহ কয়েকটি উপজেলা সম্প্রতি পদ্মা নদীর ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণের শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরিয়ে আনতে তাদের পুনর্বাসনে আর্থিক নীতি সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি শরীয়তপুরের নড়িয়াসহ কয়েকটি উপজেলা পদ্মার ভাঙনের শিকার হয়েছে। এতে বাজার, ঘর বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত এলাকার ঋণগ্রহীতা কৃষি এবং এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধে সমস্যা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও উদ্যোক্তারা যেন ঋণ খেলাপিতে পরিণত না হন সে লক্ষ্যে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে, ক্ষেত্র বিশেষে ডাউন পেমেন্ট এর শর্ত শিথিল করার কথা বলা হয়েছে। সর্বোচ্চ ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডে কৃষি এবং এসএমই খাতের ঋণ পুনঃতফসিল করতেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চাহিদার ভিত্তিতে নতুন ঋণ সুবিধা পেতে পারেন সে লক্ষ্যে কোন অর্থ জমা ব্যতিরেকেই পুনঃতফসিল পরবর্তী নতুন ঋণ সুবিধা প্রদান করার কথাও বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে এবং আবাদযোগ্য (যদি থাকে) স্থানসমূহে কৃষি কর্মকা- অব্যাহত রাখতে বিশেষ কৃষি ঋণ হিসেবে ৪% রেয়াতি হার সুদে আমদানি বিকল্প ফসলসমূহে (ডাল, তৈলবীজ, মসলা ও ভুট্টা) কৃষি ও পল্লী ঋণ দিতেও নির্দেশনা আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
এ ছাড়া নতুন করে কোনো সার্টিফিকেট মামলা না করা, আগের সার্টিফিকেট ছয় মাস বন্ধ রেখে প্রয়োজনে সোলেনামার মাধ্যমে নিষ্পত্তির পরামর্শও নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এসব পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনঃতফসিল পরবর্তী নতুন ঋণ প্রদান সুবিধা আগামী মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

ঢাকা টাইমস/১৭ অক্টোবর/ আরএ/ডব্লিউবি