দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কম: ব্যবসায়ীদের মত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ২২:৪৮

দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বরাবর ইতিবাচক মত থাকলেও এবার নেতিবাচক মূল্যায়ন এসেছে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। তাদের ধারণা দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কম।

গ্লোবাল কমপিটিটিভনেস রিপোর্ট (জিসিআর) ২০১৮ এবং বাংলাদেশ বিজনেস ইনভারমেন্ট স্টাডি ২০১৮ রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য।

চলতি বছরের শুরুতে চালানো জরিপের ভিত্তিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বুধবার বিশ্বব্যাপী একযোগে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ফোরামের পক্ষে বাংলাদেশে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

ঢাকায় এ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এ বক্তব্য সিপিডির না। ব্যবসায়ীরা মতামত দিয়েছে ।তাদের মতামতা পর্যালোচনা করে এটা প্রকাশ করা হয়েছে।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এই প্রথম আমরা দেখতে পাচ্ছি ব্যবসায়ীদের মূল্যায়ন নেতিবাচকভাবে এসেছে। এটি আমাদের পজিটিভ সূচক হিসেবে দেখা হতো। এবার আমরা প্রথমবারের মতো দেখলাম নেতিবাচক ধারায় চলে গেছে। এ বিষয়টা আমাদের মাথায় রাখা প্রয়োজন। ’

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত জরিপ পরিচালিত হলেও ২০১৭ সালের সময়কাল বিবেচনা করে ব্যবসায়ীদের উত্তর দিতে বলা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানায় সিপিডি।

জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় জানানো হয়, বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা, সিএ, ব্যাংক-বীমার মালিকসহ ১০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক এমন ২৬০ জন ব্যবসায়ীর কাছে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে থেকে ৮৩ জন উত্তর দিয়েছেন। তাদের উত্তরের ভিত্তিতেই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

রিপোর্টে জানানো হয়, যে বিষয়ে নেগেটিভ পরিবর্তন হয়েছে সেগুলোর মধ্য গণমাধ্যম রয়েছে। জরিপে এর স্কোর মাইনাস শূন্য দশমিক ৮৭ হয়েছে। অংশ নেওয়া ৬৮ শতাংশ ব্যক্তিই মনে করে বাংলাদেশে সংবাদপত্রে স্বাধীনাত সীমাবদ্ধ।

এ মতামতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের কোনো প্রভাব রয়েছে কি না আর এ বিষয় নতুন যোগ করা হয়েছে কি না, এ ব্যপারে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, গণমাধ্যম সম্পর্কে মতামত জানানোর বিষয়টি শুরু থেকেই আছে। আর এখন যে মতামত নেওয়া হয়েছে সেটা ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়কে বিবেচনা নিয়ে।

গত বছর রিপোর্টে প্লাস শূন্য দশমিক ১৫ ছিল জানিয়ে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ২০১৮ সালে হয়েছে মাইনাস শূন্য দশমিক ৮৭। এটি প্রতিবছরই একটু একটু করে ইতিবাচক ধারায় ছিল, কিন্তু এবারই প্রথাম নেতিবাচক হয়েছে। পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হয়েছে।

একটি দেশের অবস্থান বিচারের জন্য প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা, পণ্যবাজার, শ্রমবাজার, আর্থিক ব্যবস্থা, বাজারের আকার, বাজারের গতিশীলতা, নতুন ধারণার আত্মীকরণ- এই ১২টি মানদণ্ড ব্যবহার করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।

এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ১০০ ভিত্তিক সূচকে সব মিলিয়ে এবার বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ৫২.১, যা গতবছরের স্কোরের চেয়ে ০.৭ বেশি। এবার ১৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ১০৩তম স্থানে। আগের বছর ১৩৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০২তম অবস্থানে ছিল।

২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশে এই মতামত জরিপ চালঅচ্ছে সিপিডি। আন্তর্জাতিকভাবে এটা শুরু হয় ১৯৭৬ সালে।

(ঢাকাটাইমস/১৭অক্টোবর/জেআর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

গণমাধ্যম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা