গাইবান্ধায় ওসির অপসারণ দাবিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:৩৫

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাঁন মো. শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে জেলা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার বিকালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন মামুনের নেতৃত্বে শহর ছাত্রলীগের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল নিয়ে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ১নং ট্রাফিক মোড়ে এসে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ সময় গাইবান্ধা সদরের প্রফেসর কলোনিতে অবস্থিত সিরাতুল মুসতাকিম ক্যাডেট মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়ামুেলর বিচার ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খাঁন মো: শাহরিয়ারকে প্রত্যাহারের দাবিতে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন মামুন, শহর ছাত্রলীগের আহবায়ক কামাল আহম্মেদ বাবু, সদর থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক গোপাল রায়, যুগ্ম আহবায়ক শ্যাম সরকার, শহর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক জুলফিকার রহমান রাসেল, রাতুলসহ প্রমুখ।

ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, গাইবান্ধা সদরের প্রফেসর কলোনিতে অবস্থিত সিরাতুল মুসতাকিম ক্যাডেট মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও জামায়াত নেতা জহুরুল হকের শ্যালক এবং মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়ামুল। ঘটনাটি জানতে সোমবার সকালে মাদ্রাসায় যান পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক কামাল আহমেদ বাবু, ও যুগ্ম আহবায়ক রায়হান কবির মান্না।

সোমবার বিকেলে পৌর ছাত্রলীগের সেই ২ নেতাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সদর থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রাবেয়া আক্তার। 
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন মামুন জানান, গাইবান্ধা শিক্ষক নিয়ামুল ধর্ষণের শিকার হয়ে ওই ছাত্রী ৪মাসের অন্ত¡সত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর লম্পট শিক্ষক বিষয়টি স্থানিয়ভাবে সমাধান এবং ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এদিকে আমরা ব্যপারটি জানতে পেরে সদর থানার ওসির নিকট গিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই। এরপর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রাবেয়া আক্তার ছাত্রলীগের ২জনের নাম উল্লেখ করে ৬ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ করলে সদর থানার ওসি তা তদন্ত না করে উৎকোচের বিনিময়ে মামলটি রেকর্ড করেন। তার এমন ঘুষ বাণিজ্য এখন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁিড়য়েছে।

তিনি বলেন, লম্পট মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা আজ বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছি।

মামুন বলেন, আমি ছাত্রলীগের ২ নেতার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই আর মামলা প্রত্যাহার না হলে কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
 
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খাঁন মো. শাহরিয়ার জানান, পুরো ঘটনাটাই একটা ভুল বোঝাবুঝি। এখানে ছাত্রলীগের গ্রুপিং আছে। তাদের একটি গ্রুপ ভুলবুঝে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ করেছে। তাদের তরফ থেকে আমার কাছে এসে ভুল স্বীকারও করেছে। আর মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি মীমাংসার আলোচনা চলছে। তবে ছাত্রলীগের ২ নেতার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

ঢাকাটাইমস/১৭অক্টোবর/প্রতিনিধি/ ইএস