ইতিহাসে সৌদি-মার্কিন বন্ধুত্ব

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৪১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে বরাররই একটু বেশি ঘনিষ্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেকোনো ইস্যুতে তারা অনায়াসেই সৌদিকে সমর্থন করে। দুই দেশের এই অন্যরকম বন্ধুত্বের ইতিহাস নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডয়চে ভেলে।

বন্ধুত্বের শুরু

১৯৪৫ সালে সৌদি আরবের প্রথম বাদশাহ আবদুল আজিজের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠক করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট৷ তখন থেকেই বিশেষ এক বন্ধুত্ব শুরু দুই দেশের৷ ১৯৭৯ সালে ইরানে মার্কিন সমর্থিত শাহের পতন ঘটলে সৌদি আরব পরিণত হয় মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বন্ধুতে৷

ইরানে ইসলামী বিপ্লব

১৯৭৯ সালে ইরানের ক্ষমতায় এসে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘গ্রেট শয়তান’ হিসেবে আখ্যা দেন আয়াতুল্লাহ খোমেনি৷ আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠায় বরাবরই ইরানের বিপক্ষে সৌদি আরবের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷

কুয়েত আক্রমণ

১৯৯০ সালের আগস্টে ইরাক কুয়েত দখল করলে কুয়েতের রাজপরিবারকে আশ্রয় দেয় সৌদি৷ যুক্তরাষ্ট্র কুয়েতকে দখলমুক্ত করতে অভিযান চালায়৷ এসময় যুক্তরাষ্ট্রকে সার্বিক সহযোগীতা করে সৌদি।

টুইন টাওয়ার হামলা

সৌদি বাদশাহ ফাহাদ এবং পরবর্তীতে বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের৷ ২০০১ সালে আল কায়েদা টুইন টাওয়ারে হামলা চালানোর পরও এ বন্ধুত্বে ফাটল ধরেনি৷

ইয়েমেন সংকট

ইয়েমেনে সৌদি জোটের হামলায় বেসামরিক লোক নিহত হলেও এ ব্যাপারে এখনো সৌদির কোনো সমালোচনা করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া প্রতিটি ক্ষেত্রে সৌদিকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

কাতার ইস্যু

শুরুতে সৌদি-কাতারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও এখন তা বিপরীতমুখী। ২০১৭ সালে কাতারের উপর সৌদির নেতৃ্ত্বে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে সেসময় সৌদিকে পূর্ণ সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

সাংবাদিক খাশগির অন্তর্ধান

ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিঁখোজ হওয়ার পর শুরুতে সৌদিকে শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই তিনি এই ঘটনায় সৌদিকে রক্ষা করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। দুর্বৃত্তের আক্রমণে খাশোগি নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলেও তিনি ধারণা করেছেন।

ঘটনা যাই ঘটুক না কেন যুক্তরাষ্ট্র-সৌদির সম্পর্কে খুব একটা প্র্রভাব অতিতে পড়তে দেখা যায়নি। ভবিষ্যতেও সেই সম্ভাবনা খুবই কম।

ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/একে