বাচ্চুর চলে যাওয়ার ক্ষতিটা অপূরণীয়: জেমস

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:৩১

রুদ্র রুদ্রাক্ষ, ঢাকাটাইমস

জেমস-বাচ্চু। একই সঙ্গে উচ্চারিত দুটো নাম। বাংলা ব্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ জুটির পথচলার শুরু সেই ৮০'র দশক থেকে। ২০১৮ সালে শেষ ভাগে এসে একা হয়ে গেলেন নগরবাউল। 

দীর্ঘদিনের সঙ্গী এলআরবি তার সেই গানটি গাইতে গাইতে ছায়া হয়ে মিলিয়ে গেলেন। 

‘আর বেশি কাঁদালে উড়াল দেব আকাশে’। কে কাঁদিয়েছে আইয়ুব বাচ্চুকে এ কথা আর কোনদিনও জানা যাবে না! জানা যাবে না গিটারের জাদুকরের অভিমানের রঙ কি! ‘জেমস কোথায়’? 

বৃহস্পতিবার স্কয়ার হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সবচেয়ে বেশিবার এসেছে এই প্রশ্নটি। কেননা, আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ রয়েছে এই হাসপালটিতেই।

বেলা ১২ টার দিকে ফোনে পাওয়া যায় জেমসকে। সংবাদটি শোনার পর সুরসাথী হারানোর এক যন্ত্রণা ফুঁটে ওঠে নগরবাউলের কন্ঠে। 

সরকারের উন্নয়ন মেলায় অংশ নিতে বর্তমানে বরিশালে রয়েছেন জেমস। দুঃখ ভারাক্রান্ত কন্ঠে ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘রকস্টার এভাবে চলে গেলেন? ক্ষতিটা অপূরণীয়’ 

এরকম আক্ষেপ থেকে জেমস ফিরে যান ৮০'র দশকে। বলেন, ‘বাচ্চু ভাইর সঙ্গে পথচলা শুরু সেই ৮০'র দশকে। এক সঙ্গে কত পাগলামি-গান, সুখ-দুঃখ, মান-অভিমান। দীর্ঘ এ যাত্রার স্মৃতিচারণ ফুরোবার নয়।’ 

অ্যালবামের যুগ উল্লেখ করে জেমস বলেন, আমাদের দুজনের মিক্সড অ্যালবাম যে পরিমানে শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছিলো তা ছিল ভাবনারও অতীত। সেই আইয়ুব বাচ্চু বেঁচে নেই। আমার ঘাড়ে কতশত স্মৃতি রেখে চলে গেলেন। মেনে না নেওয়ার মত একটা দিন আজ। আজকের কনসার্টটি আমি বাচ্চু ভাইর নামে উৎস্বর্গ করছি।’

(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/আরইউ/এজেড)