দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে বনানীর মন্ডপ

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:০৫

সিরাজুম সালেকীন, ঢাকাটাইমস

শারদীয় দুর্গোৎসবে রাজধানীর বনানী মন্ডপে বরাবরই আলাদা আকর্ষণ থাকে। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। এবার পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে অভিজাত এই এলাকার পূজা মন্ডপ। আর সেই পূজাকেন্দ্র ঘিরে জমে উঠেছে সার্বজনীন মেলা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি অন্য ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে এখানে তৈরি হয়েছে সম্প্রীতির অপূর্ব মেলবন্ধন।

মহিষাসুরমর্দিনীর বন্দনায় গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বনানী মাঠে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে।  বৃহস্পতিবার উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অংশ নিচ্ছেন।

২০০৮ সাল থেকে বনানীতে দুর্গা পূজার আয়োজন করা হচ্ছে। এবার এগার বছরে পা দিয়েছে এখানকার আয়োজন। এবার মণ্ডপে প্রবেশ করার আগে দীর্ঘ রাস্তায় বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের মধ্যে এক অনাবিল আনন্দের অনুভূতির সৃষ্টি করে এই আলোকরাশি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বনানীর পূজা মণ্ডপ শুধু মণ্ডপই নয়, একটি অপূর্ব রাজপ্রাসাদ বলা যেতে পারে। কলতাকার দক্ষিণেশ্বর কালি মন্দিরের আদলে মর্ডান আর্ট ও ইউনিক ডিজাইনে তৈরি হয়েছে এই মণ্ডপটি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ২০০ শিল্পী ও কারিগরেরা দিনের পর দিন পরিশ্রমের পর এই পূজা মণ্ডপটি গড়ে তুলেছেন। এতে তৈরি করা হয়েছে বাঁশ, হার্ডবোর্ড, কাঠ, গর্জন ফ্লাইবোড দিয়ে। মণ্ডপে লাল, সাদা, খয়েরি ও সোনালি রঙের কারুকাজ করা হয়েছে।

পূজা উপলক্ষে এখানে জমেছে মেলাও। এখানে রয়েছে বিভিন্ন স্টাল। এসব স্টলে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, খাবার দোকান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন বইয়ের দোকান, রাধাকৃষ্ণের মূর্তি, কসমেটিস ও শিশুদের খেলনার দোকান। পূজার পাঁচদিন প্রতিমা প্রদর্শনের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা এখান থেকে বিভিন্ন আকর্ষণীয় পন্য কেনাকাটা করতে পারবেন।

গুলশান-বনানীর পূজা উদযাপন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র ঘোষ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সরকারি কোনো সহযোগিতা কখনো নিই না আমরা। এখানকার বাসিন্দারা মিলেই উৎসবটি পালন করেন।’

পর্যাপ্ত নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ, র‌্যাবসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও পূজায় প্রতিদিন ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে।’

ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/এসএস/ডিএম