‘পথিকৃৎ হয়ে থাকবেন আইয়ুব বাচ্চু’

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৫১ | প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৩৬

বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চু। তবে তিনি নিজেকে গিটারিস্ট হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসতেন। তারপর গায়ক। সদ্য প্রয়াত এ কিংবদন্তী নিজেই গান লিখতেন, সুর করতেন। দীর্ঘ চার দশক দশক ব্যান্ড সঙ্গীতের জগতকে মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। সঙ্গীত জীবনে অসংখ্য সুপারহিট গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার গাওয়া সেসব গান অন্য শিল্পীরা গান বিভিন্ন লাইভ অনুষ্ঠান ও কনসার্টে। তরুণ শিল্পীরা বিভিন্ন সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় তার গান গেয়ে মুগ্ধতা ছড়ান।

কিন্তু কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গীতের জগতে তিনি কতটা প্রভাব রাখতে পেরেছেন? এ প্রসঙ্গে শিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু তার নিজের স্থান থেকে বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতকে শতভাগ দিয়ে গেছেন। তিনি একজন গিটারিস্ট, টিউনার এবং সিঙ্গার। এসব বিষয়গুলো যদি ধরি তাহলে শতভাগ তিনি দিয়ে গেছেন। বেঁচে থাকলে ওভার শতভাগ হতো।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক লীনা তাপসী বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু তার প্রচেষ্টা দিয়ে বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিক জগতের পথিকৃৎ হয়ে থাকবেন। তার ধ্যান, জ্ঞান, চিন্তা এবং কঠোর সাধনা তাকে এই জায়গায় উন্নীত করেছে। এটা একদিনের বিষয় না। এক কথায় বলতে চাই, তিনি যে ধারাটা তৈরি করে গেছেন সেটা অপূরণীয় থেকে যাবে। মানুষ একন তার মত করে গান গাইবে, গিটার বাজাবে।’

সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু শুধু তরুণ প্রজন্ম নয়, বরং নানা ধরনের গান গাওয়ার কারণে সব শ্রেণির শ্রোতাদের মন জয় করতে পেরেছিলেন। বছর খানেক আগে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আইয়ুব বাচ্চু বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম এবং সারা বিশ্বে যারা বাংলা ভাষাভাষী মানুষ আছেন, তাদেরকে গানের মাধ্যমে জাগিয়ে রাখার জন্যই তার সব রকমের প্রচেষ্টা।’

আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডদলের মাধ্যমে তিনি গানের জগতে আসেন। ১৯৮০ সালের দিকে তিনি ‘সোলস’ ব্যান্ডের সঙ্গে গান করতেন। এই দলটির সঙ্গে তিনি ১০ বছর যুক্ত ছিলেন। পরে ১৯৯১ সালে তিনি ‘এলআরবি’ গঠন করেন। ক্যারিয়ারে মোট ১৬টি একক অ্যালবাম করেছেন আইয়ুব বাচ্চু। ব্যান্ড অ্যালবাম করছেন ১২টি। এর মধ্যে তার গাওয়া হিট গানের সংখ্যা বের করতে হলে তো ক্যালকুলেটর নিয়ে বসতে হবে।

কিন্তু হঠাৎ করেই ঝরে পড়ল বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের সবচেয়ে উজ্জ্বল এ তারকাটি। ১৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আইয়ুব বাচ্চুকে তার মগবাজারের বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানান, হৃদরোগে মৃত্যু হয় কিংবদন্তী এ শিল্পীর। -বিবিসি বাংলা

ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :