হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে শিশু হত্যা

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১২:০৩ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:১৬

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জুই আক্তার নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। অপহরণের পর মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা না পেয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিশুটির পরিবার।

শুক্রবার সকালে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকার ওই শিশুর বাড়ির পেছন  থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জুঁই আক্তারের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। জুঁই আক্তার উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে।

এদিকে, নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জুঁই আক্তারের হত্যাকারীদের খুজে বের করে ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এসময় বিক্ষোভ মিছিলটি টেকপাড়া এলাকাসহ আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।

ওই শিশুর বাবা আনোয়ার হোসেনের বরাত দিয়ে ভুলতা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রফিকুল জানান, জুঁই আক্তারকে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাড়িতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেন। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। জুই আক্তারের খোঁজ চেয়ে ফেসবুকে আবেদন জানানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে জুই আক্তারের বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে অপহরণকারীরা আনোয়ার হোসেনকে ফোন দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা নিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে  স্টেশনে যেতে বলেন। অপহরণের ঘটনা পুলিশকে জানালে জুঁই আক্তারকে মেরে ফেলার অপহরণকারীরা হুমকি দেন।

বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অপহরণকারীদের ৫লাখ টাকায়  সমঝোতা হয়।

শুক্রবার সকালে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে জুঁই আক্তারের লাশ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বস্তাবন্দি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।

পুলিশের ধারণা, মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে জুই আক্তারকে নিজ বাড়ির সামনে হাত-পা  বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বস্তাবন্দি করে ফেলে রেখে যায়।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে অপহরণকারীরা জুঁই আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের  গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/প্রতিনিধি/ওআর)