এবার বি. চৌধুরীর বিকল্পধারার ‘বিকল্প’
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ না দেয়ার পর সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউএম এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারারও বিকল্প দাঁড়িয়ে গেল। দলের চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং মহাসচিব আবদুল মান্নানকে ‘অব্যাহতি দিয়ে’ নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেছে দলের একাংশ।
ঘোষিত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে নুরুল আমিন বেপারীকে। সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন শাহ আহম্মেদ বাদল।
শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে সাংবাদ সম্মলনে এ ঘোষণা দেন নুরুল আমির ব্যাপারী। তিনি দলীয় গঠনতন্ত্র অনু্যায়ী বি, চৌধুরী, আবদুল মান্নান ও যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়ার কথা বলেন।
প্রেসক্লাব চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করার কারণ হিসেবে শাহ আহম্মেদ বাদল বলেন, ‘প্রেস ক্লাবে আমাদের হল বুকিং দেয়া থাকলেও হঠাৎ করে তা বাতিল করে দেয়া হয়। তাই আজকে এখানে (প্রেস ক্লাব চত্বরে) ঘোষণা দিতে হচ্ছে।’
গত ১৩ অক্টোবর ঘোষণা দেয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিকে আলোচনা চলছিল বি. চৌধুরীর সঙ্গেও। তবে তার দলের পক্ষ থেকে বিএনপিকে জামায়াত ত্যাগ এবং আগামীতে ক্ষমতায় গেলে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় কিছু শর্ত দেয়া হচ্ছিল।
গত ১২ অক্টোবর ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের বাসায় বি. চৌধুরীকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে অনুপস্থিত থাকেন ড. কামাল আর বিষয়টি জনাব চৌধুরীকে জানানোও হয়নি। এ নিয়ে তিনি অপমানিত বোধ করেন।
১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলনের দিনই পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে বি. চৌধুরী বলেন, নতুন জোট গঠনের আসল উদ্দেশ্য বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা। সে প্রক্রিয়ায় তারা ভবিষ্যতেও থাকবেন না।
তবে একই দিন বিকল্পধারার একটি অংশ জাতীয় ঐক্যে থাকবে বলে জানা যায়। যদিও সেই ভাঙন সেদিন আনুষ্ঠানিক রূপ নেয়নি।
বিকল্পধারা ব্র্যাকেটবন্দি হওয়ার ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে এর সাধারণ সম্পাদক শাহ আহম্মেদ বাদল বলেন, ‘বি চৌধুরী অন্ত ভালো মানুষ কিন্ত তার ছেলে মাহী বি চৌধুরীর কূটচালে তিনি শেষ পযন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিতে পারেননি।’
বিএনপির শরিক দলগুলোর মধ্যে বেশ বেশ কিছু দলই ব্র্যাকেটবন্দি। পাঁচটি দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার পর দলের সভাপতি বা চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করে একই নামে দল হিসেবে জোটে রয়ে গেছেন অন্যরা। এর সবশেষ সংযোজন বাংলাদেশ ন্যাপ ও এনডিপি।
এর আগে এনপিপি, ইসলামী ঐক্যজোট, ভাসানী ন্যাপ ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার পরও একই প্রক্রিয়ায় শীর্ষ দুই নেতাকে বহিষ্কার করে নতুন কমিটি করে জোটে থেকে যায় দলের অপর অংশ।
জামায়াত প্রশ্নে বি চৌধুরী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যাননি, আপনারা কী করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে নুরুল আমিন বলেন, ‘আমাদের দলের কেউ জামায়াতকে সমর্থন করে না। এগুলো মাহী বি চৌধুরীর কূটচাল।’
‘আজকে মেজর মান্নানের দুর্নীতির খবর বের হয়েছে। কোনো দুর্নীতিবাজ বিকল্প ধারায় থাকতে পারে না।’
তারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যাবেন জানিয়ে নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, ‘যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা সেখানে যাবো।’
(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/এমএম/ডব্লিউবি)