‘২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:০৬
ফাইল ছবি:বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান

আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

শনিবার সকালে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে ড. আতিউর রহমানের চারটি বইয়ের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. আতিউর রহমান বলেন, এক সময় বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুঁড়ির’ দেশ বলা হতো। কিন্তু আজ আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। আতিউর রহমান বলেন, ‘১৯৭২ সালে যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফেরেন তখনই তিনি সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা সোনালি দেশ গড়ে তুলব। আসুন, দেশকে শোষণমুক্ত করে গড়ি তুলি। সকলে মিলে গড়ে তুলি সোনার বাংলাদেশ। তিনি কৃষি ও শিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে সোনার বাংলা তুলতে চেয়েছিলেন। তার ছোঁয়ায় ধ্বংসস্তুপে ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়াতে থাকে হার না মানা সোনার বাংলাদেশ। কিন্তু তখনই হায়েনারা শারীরিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে আলাদা করে দেশবাসীর থেকে। অনিশ্চিত অন্ধকারে চলে যায় দেশ।’

সাবেক এ গভর্নর আরো বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ফের দেশ এগিয়ে চলা শুরু করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে। শুরু হয় নয়া উদ্দীপনায় দিনবদলের যাত্রা। বাহাত্তরের ৮ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি চলতি বছর ২৮৫ বিলিয়ন ডলার হতে চলেছে। সর্বশেষ অর্থবছরে জিডিপি বেড়েছে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ হারে। উন্নত দেশ গড়ে তুলতে এখন দরকার গুণগত শিক্ষা।

আতিউর রহমানের পাঠ উন্মোচন করা চারটি বই হলো- শেখ মুজিব বাংলাদেশের আরেক নাম, ‘ফরম অ্যাশেস টু প্রসপারিটি’, ‘নিশিদিন ভরসা রাখিস’ ও ‘প্রান্তজনের স্বপক্ষে’।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। আলোচনায় অংশ লেখক সেলিনা হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান এবং বিআইবিয়ামের মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।

খোন্দকার ইব্রাহিম খালিদ বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশে আয় বৈষম্য কিছুটা বাড়লেও অর্থনৈতিক দিক থেকে সার্বিকভাবে অনেকটাই এগিয়ে গেছে।

প্রতিবেশী দেশ ভারত, চীন ও সিঙ্গাপুরের উদাহরণও টানেন তিনি।

অনুষ্ঠানের বক্তারা বলেন, ‘দেশের ব্যাংকিং খাতে ড. আতিউর রহমানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আগে বাংলাদেশে ব্যাংকের অভিযোগ বাক্সে আসা অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কথা বলেননি কোনো গভর্নর। কিন্তু ড. আতিউর রহমান প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকের ফোনকলও রিসিভ করে তার অভিযোগ শুনেছেন। তার সমস্যার সমাধান করেছেন। এমন নানা উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন, যার সুফল এখন আমরা ভোগ করছি।’

(ঢাকা টাইমস/ ২০ অক্টোবর/ আরএ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :