১১ বছর পর মেসি-রোনালদোহীন এল ক্লাসিকো
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এখন জুভেন্টাসের খেলোয়াড়। শনিবার রাতে ইনজুরির কারণে তিন সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন বার্সেলোনা সুপারস্টার লিওনেল মেসিও। ফলে দুই তারকার একজনও আগামী রোববার মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে থাকছেন না।
২০০৭ সালের পর প্রতিটি এল ক্লাসিকোতে মেসি আর রোনালদোর মধ্যে অন্তত একজনকে দেখা গেছে। ১১ বছর পর তাদের কেউই থাকছেন না স্প্যানিশ ফুটবলের এই মর্যাদার লড়াইয়ে। রিয়াল-বার্সা দুই ক্লাবের ভক্তরা তাই হতাশ। কারণ, মেসি-রোনালদোর উপস্থিতি এল ক্লাসিকোতে যোগ করেছিল ভিন্ন মাত্রা। দলীয় লড়াইয়ের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত দ্বৈরথটা ছিল বাড়তি পাওয়া। নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব জাহিরের লক্ষ্যে সময়ের সেরা দুই তারকা একে অপরের বিপক্ষে মাঠে লড়ছেন- এমন দৃশ্য দেখা বড় সৌভাগ্য ছিল ফুটবলপ্রেমীদের জন্য।
তবে মেসি-রোনালদোর উপস্থিতি লা লিগাকে দুই ঘোড়ার দৌড় বানিয়ে দিয়েছিল। ঘুরে ফিরে বার্সা না হয় রিয়ালের হাতেই উঠত লিগ শিরোপা। দৃশ্যপটে এবার পরিবর্তন আসতে পারে। কেননা, রোনালদো চলতি মৌসুমে জুভেন্টাসে যোগ দেয়ার পর থেকে বেশ ধুঁকছে রিয়াল। অপরদিকে, মেসিকে নিয়েও খুব একটা সুবিধা করে ওঠতে পারছেনা বার্সা। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ ডিয়েগো সিমিওনে মনে করছেন, লা লিগা মেসি-রোনালদো বলয় থেকে বেরিয়ে এসেছে। এ কারণেই নাকি চলতি মৌসুমে এত প্রতিপ্রতিদ্বন্দ্বিতা! এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘লা লিগা এখন চমৎকার অবস্থায় আছে। প্রতিটা দলই পয়েন্টের জন্য লড়ছে। আগে যখন মেসি-রোনালদো সব নির্ধারণ করে দিত তখন যতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল এখন এর চেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।’
সিমিওনের কথা অস্বীকার করার জো নেই। পয়েন্ট টেবিলে তাকালেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায়। শীর্ষ পাঁচে বার্সা, অ্যাটলেটিকো আর রিয়ালের সঙ্গে আলাভেস-সেভিয়ার মত দল। তবে লা লিগার কেবল ৯ রাউন্ড খেলা হয়েছে। মৌসুমের সিংহভাগ এখনও বাকি। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষতক থাকবে কি না এখনই বলা মুশকিল।
(ঢাকাটাইমস/২১অক্টোবর/এআর)