রোগ পরীক্ষার ফি নির্ধারণে কমিটি গঠন
হাসপাতালে রোগ পরীক্ষায় ইচ্ছামতো ফি আদায় বন্ধ করতে অবশেষে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। হাইকোর্টের এক আদেশের পর ফি নির্ধারণ করে দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর পরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক মালিক সমিতির মহাসচিবকেও এই কমিটিতে রাখা হয়েছে।
আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি গঠন করে সোমবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়।
এরপর প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
পরে আইনজীবী বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আদালত দুই মাসের মধ্যে এই কমিটিকে ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স-১৯৮২’ অনুসারে চিকিৎসার ফি-সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে। এ-সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে আগামী ৯ জানুয়ারি।
হিউম্যান রাইটস ল ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গত জুলাইয়ে এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদন করা হয়। রিটের পর ২৪ জুলাই হাইকোর্ট বেসরকারি ক্লিনিক/হাসপাতাল ল্যাবরেটরি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মূল্য তালিকা এবং ফি টানিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
সেই সঙ্গে ফি নির্ধারণে নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়। হাসপাতাল এবং ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স অনুমোদন, তাদের সেবার বিষয় তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন নীতিমালা তৈরি করা হবে না, এবং সব জেলা হাসপাতালে আইসিউ/সিসিইউ স্থাপনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চায় আদালত।
(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/এমএবি/ডব্লিউবি)