নির্বাচনের আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন নয়: কাদের
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংসদ চলবে আর মাত্র দুই দিন। এই দুই দিনে এটা নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই।’
মঙ্গলবার সকালে সচিবলায়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল পাস হয়। এই আইনের ৩২ ধারা নিয়ে আপত্তি ছিল সম্পাদক পরিষদের। এই ধারা অনুযায়ী অতি গোপনীয় কোনো নথি কপি করলে ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেসট অ্যাক্টের বিধান অনুযায়ী বিচারের কথা বলা আছে।
এই আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর থেকে সম্পাদক পরিষদ সরকারের সঙ্গে একাধিকবার দেন দরবার করেছে। সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, স্বাধীন সাংবাদিকতা বিঘ্নিত হয়-এমন কিছু হবে না। সম্পাদক পরিষদ মনে করছে, এই বিধানের কারণে স্বাধীন সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পড়বে আর এর প্রতিবাদে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছিল তারা।
এই আইনের মাধ্যমে কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না বলে জানান কাদের। বলেন, ‘এই আইনের যেন কোনো ধরনের অপপ্রয়োগ না হয় সে বিষয়ে আমরা শক্তভাবে নজর রাখব। আমরা মনে করি এ আইন দিয়ে দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের লালন হবে। এ আইনের মাধ্যমে কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না।’
নিজের ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ হয়েছিল উল্লেখ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেরপুরে নাকি আমার সঙ্গে এক মহিলা ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে শেয়ার করেছে। ঘটনাটি সঠিক ছিল না। বিষয়টি নিয়ে আমাদের দলীয় এক স্থানীয় নেতা মামলা করেছিল। এতে ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।’
‘পরে আমি বিষয়টি জানতে পেরে এ বিষয়ে পুলিশের আইজি এবং শেরপুরের পুলিশ সুপারকে ফোন করেছি। বলেছি, আমাকে না জানিয়ে সেই মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হলো কেন? অসত্য ঘটনায় এমন করা হলো, অথচ আমাকে জানানো হলো না এটা কেমন কথা? পরে আমি বলার পর মামলা প্রত্যাহার হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা চেষ্টা করবো যাতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের কোনো অপপ্রয়োগ না ঘটে।’
ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/এমএম/এমআর