এশিয়া কাপের মানসিকতা নিয়েই খেলছি: মাশরাফি

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:০২

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরুর দিকে একের পর এক হারত বাংলাদেশ। কিন্তু সেই জিম্বাবুয়েকে এখন হরহামেশাই হারায় টাইগাররা। ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ১১ ম্যাচের ১১টিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তারপরও জিম্বাবুয়েকে মোটেও ছোট করে দেখছে না বাংলাদেশ। গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে যে মানসিকতা নিয়ে বাংলাদেশ খেলেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও সেই মানসিকতা নিয়ে খেলছে। এশিয়া কাপে রানার হয়েছিল বাংলাদেশ।

আগামীকাল (বুধবার) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ সামনে রেখে মঙ্গলবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন, ‘আসলে প্রতিপক্ষ চিন্তা করে খেলা কঠিন। দেখেন মুশফিক ১৫০ মেরে এসেছে শ্রীলঙ্কার সাথে। পাকস্তিানের বিপক্ষে প্রায় সেঞ্চুরি করেছে। জিম্বাবুয়ের সাথে তো ২০০ করার কথা। ক্রিকেট খেলা তো এভাবে হয় না। একটা এক্সট্রা অর্ডিনারি বলে আপনি আউট হতে পারেন। আমার ভালো বোলার মোস্তাফিজের তো পাঁচ-ছয়টা করে উইকেট পাওয়ার কথা। পেয়েছে তো একটা। এভাবে তো ক্রিকেট খেলা হয় না। যেটা হয় আপনি যদি ফর্মে থাকেন তাহলে মাঠে গিয়ে ওই পেশাদারিত্ব দেখিয়ে নিজের ফর্ম ধরে খেলে যাবেন। শারীরিক, মানসিক একটা ব্যাপার থাকে। অনেক সময় অ্যাডজাস্টমেন্ট ঠিকমতো না হলে পারফর্ম করা কঠিন হয়ে পড়ে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ওই সময়ের জিম্বাবুয়ে দল একরকম ছিল। বাংলাদেশের ক্রিকেটেও প্রফেশনালিজমের স্টার্টিং সময়। অবশ্যই পার্থক্য ছিল। এখন হয়তো জিম্বাবুয়েকে আপনারা ওভাবে দেখছেন, চিন্তা করছেন। আমরা যে ওভাবে চিন্তা করছি না। কোনো জায়গা থেকে ছোট করছি না। তাদেরকে কোনো জায়গা থেকে ছোট করার সুযোগ নেই। তারা সব সিনিয়র খেলোয়াড়রাই এসেছে। তারা তাদের সেরা খেলা খেললে আমাদের জন্য কঠিন হবে। সত্যিকার অর্থে আমরা এশিয়া কাপে যে মানসিকতা নিয়ে খেলেছি সেই মানসিকতা নিয়েই এখন খেলছি। আমরা যেন কোনো ভুল না করি। এখানে আমরা হংকংয়ের সাথে হেরেছি। তাই আমরা কোনো সুযোগ দিতে চাই না।’

সাকিব, তামিম ইনজুরিতে। আগামী বছর বিশ্বকাপ। তাই বাংলাদেশ দলও নতুন কিছু খেলোয়াড়কে দলে সুযোগ দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। দেখা যাচ্ছে নতুনরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করে আসলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতে পারছে না। এ বিষয়টি নিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, ‘প্রথমত ক্যামেরা। একটা খেলোয়াড় যখন জানে যে টিভিতে খেলাটা দেখা হচ্ছে তখন সাধারণতই চাপ চলে আসে। তারপর হোমে খেলা হলে একটা ক্রাউড তো থাকেই। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তো আছেই। প্রেস আছে, টিমমেট আছে, পরিবার আছে। এগুলো তো ঘরোয়া ক্রিকেটে নেই। কেউ হয়তো খোঁজও রাখে না। এর সাথে ব্যবধান অনেক। এমনও না যে ১৯-২০। এমনকি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সঙ্গেও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটের ব্যবধান অনেক বড়।’

১৯৯৭ সালে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৪৮ রানে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ১০টি ওয়য়ানডে ম্যাচে হারে বাংলাদেশ। ১১ ও ১২তম ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল। ১৩তম ম্যাচে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ২০০৪ সালে হারারেতে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল ৮ রানে।

এই একটি ম্যাচে জয় পাওয়ার পর টানা চার ম্যাচে হারে বাংলাদেশ। কিন্তু পরে টানা তিনটি জয় পায় টাইগাররা। এরপর থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে একের পর এক সাফল্য পেতে থাকে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।

(ঢাকাটাইমস/২৩ অক্টোবর/এইচএ/এসইউএল)