নারায়ণগঞ্জে চার খুনে পুলিশ, মানেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:১৯ | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জের সড়কের ধারে যে চারজনের লাশ পাওয়া গেছে, তাদেরকে পুলিশ খুন করেছে বলে বিশ্বাস করেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। অ্যাপভিত্তিক অ্যাম্বুলেন্স সেবা উদ্বোধন করতে সেখানে যান তিনি।

গত রবিবার ভোরে নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে চার জনের মরদেহ পাওয়া যায়। তাদের সবাইকে পেছন থেকে গুলি করা হয়েছে মাথায়।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে পরে লুৎফর রহমান মোল্লা নামে এক গাড়ি চালককে শনাক্ত করেছেন তার স্ত্রী রেশমা বেগম।

আর পরদিন স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে বাকিদেরকে শনাক্ত করেন। এরা হলেন পাবনার আতাইকুলা থানাধীন পুষ্পপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জহিরুল, একই গ্রামের খাইরুল সরদারের ছেলে সবুজ সরদার এবং জামাল প্রামাণিকের ছেলে ফারুক প্রামাণিক।

এদের মধ্যে ফারুক ভুলতা থেকে গুলিস্তানগামী গ্লোরী পরিবহনের বাস চালাতেন। তার স্ত্রী তাসমিয়া বেগম জানিয়েছেন, শুক্রবার পুলিশ এসে তার স্বামীসহ চার জনকে ধরে নিয়ে যায়। রাতে স্বামীর জন্য ভাত নিয়ে ভুলতার পুলিশ ফাঁড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে স্বামীকে দেখেও আসেন। আর পরে বরিবার সকালে জানতে পারেন চার জনের মরদেহ পাওয়ার কথা।

তাসমিয়ার এই বক্তব্যে সন্দেহের তীর পুলিশের দিকে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি এই তথ্য অস্বীকার করেছে। বাহিনীটি এই ঘটনাতে দুই দল ডাকাতের মধ্যে সংঘর্ষে এই খুন হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ খুন পুলিশ করেছে- আমার মনে হয় কথাটি সত্য নয়। পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলেছে একথাও সত্য নয়।’

‘যেই উধাও হয় তখনই পরিবারের লোকজন এসে বলে পুলিশ নিয়ে গেছে। তদন্তের আগে আমি কিছু বলতে পারব না।  অভিযোগ সত্য হলে তাদের বিচার হবে কেউ আইনের ওপরে নয়।’

রাজধানীতে তল্লাশি চৌকিতে এক নারীকে আপত্তিকর প্রশ্ন করা এবং তার অমতে ভিডিও তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়েও মন্ত্রীকে প্রশ্ন রাখা হয়। তিনি বলেন, ‘পুলিশ এখন জনগণের বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ কি এমন কাজ করতে পারে? তার পরেও আমি আবারও বলছি যদি পুলিশ করে থাকে তাহলে বিচার হবে।’ 

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার নিয়েও কথা বলেন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বলেন, ‘সবাই খুব ভালো করে জানে যে রাজনৈতিক কারণে ব্যারিস্টার মইনুলকে দরা হয়নি। তার বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত ৭-৮ টি মামলা হয়েছে। দেশে বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব মহিলারা মনে করছেন  যে নারীদের তিনি অবমাননা করেছেন তারাই এ সমস্ত মামলাগুলো করছেন। সবগুলো মামলাই কোনো না কোনো সামাজিক মহিলা নেত্রী কিংবা বিভিন্ন পর্যায়ের মহিলা নেত্রীরা করছেন। কাজেই রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অ্যাপভিত্তিক অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিয়ে আসা ইজিয়ার টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেদী হাসান ও  ঢাকা মহানগর অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/এসএস/ডব্লিউবি