ওষুধ না বিষ

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ২০:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

২০১৩ সালে মেয়াদউত্তীর্ণ, কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ২০১৮ সালেও। এই চিত্র দেখে রীতিমত হতভম্ভ অভিযানকারী দল। এই ওষুধে রোগ নিরাময় দূরের কথা, রোগীর কী ক্ষতি হয়, না নিয়ে শঙ্কিত তারা।

মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় দুটি ওষুধের দোকানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে বেরিয়ে আসে এই চিত্র। এ সময় ‘জননী’ এবং ‘নুরানি’ নামের দুই ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।  পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ মেয়াদহীন ওষুধ সেখানে ধ্বংস করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।  তিনি জানান, দুটি ফার্মেসিতে ১০ মিনিটেই প্রায় শতাধিক মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পান তারা। দুটি দোকানেই ২০১৩ ও ২০১৫ সালের এক্সপায়ার ডেটের বেশকিছু ওষুধও বিক্রি হচ্ছিল দেখা গেছে।

জব্বার মণ্ডল বলে, ‘এক-দুদিন কিংবা এক দুই মাস হলেও মেনে নেয়া যায় যে অসাবধানতার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ৫ বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কীভাবে বিক্রি করে? এটা স্পষ্ট যে তারা বাড়তি মুনাফার লোভে এসব ওষুধ বিক্রি করছে। আর এসব ওষুধ খেয়ে রোগী নিরাময়ের বদলে স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতায় ভুগছেন।’

অভিযান চলাকালে ওষুধের দোকান দুটির বিক্রেতাকে এসব বিষয়ে নানা প্রশ্ন করলেও তারা কোনো জবাব দিতে পারছিলেন না। তারা মাথা নিচু করে চুপ থাকেন।

এই কর্মকর্তা জানান, দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করলে আরও কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।

জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে আব্দুল জব্বার মণ্ডল জানান।

ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/এসএস/ডব্লিউবি