জেলা পরিষদ কার্যালয়ে বিষধর রাসেল ভাইপার!
দীর্ঘ ২৫ বছর বিলুপ্ত থাকার পর ২০১৩ সালে বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রথম বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের দেখা মেলে। গেল পাঁচ বছরে এই বরেন্দ্র অঞ্চলের বেশ কয়েকজন কৃষকের প্রাণ নিয়েছে এ সাপ। রাসেল ভাইপারে কাটলে চিকিৎসা চললেও দংশিত স্থানে পচন ধরে।
তাই ধানকাটা মৌসুমে চাষিরা রাসেল ভাইপারের জন্য জমিতে নামতে ভয় পান। তবে এবার ধানি জমিতে নয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী জেলা পরিষদের কার্যালয়েই দেখা মিলল ভয়ঙ্কর বিষধর এই সাপের। পরিষদের কর্মচারীরা ভয়ে সাপটি মেরে ফেলেন।
জেলা পরিষদের নৈশপ্রহরী জিয়াউল হক জানান, তিনি এবং পিয়ন সোনাতন চন্দ্র দাস সন্ধ্যায় পরিষদ কার্যালয়ে আলো জ্বালাতে আসেন। ভেতরে ঢুকে তারা মেঝে ঝাড়ু দেয়ার মতো শব্দ শুনতে পান। এক পর্যায়ে তারা আলো জ্বেলে দেখেন মেঝেতে একটি সাপ। প্রথমে তারা প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা এই সাপটিকে অজগর বলে ধারণা করেন। আলো জ্বালানোর পর সাপটি প্রথমে জেনারেটরের নিচে এবং পরে আলমারির নিচে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
সাপটিকে বের করতে গিয়ে তারা দেখেন এটি রাসেল ভাইপার। তখন তারা ভয় পেয়ে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।
তারা জানান, কিছুদিন আগেও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ারের নিচে একটি সাপ পাওয়া যায়। বৃষ্টি হলেই জরাজীর্ণ জেলা পরিষদ কার্যালয়ের ভেতরে পানি ঢুকে। এর সঙ্গে সাপ-ব্যাঙও ঢুকে পড়ে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, সাপটি রাসেল ভাইপার। কয়েক মাস আগে একটি সাপ তার চেয়ারের নিচে বসেছিল। চেয়ারম্যান বলেন, জরাজীর্ণ ভবনের কারণে সাপ ঢুকে পড়ছে। তারা একটি নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৫অক্টোবর/আরআর/এলএ)