দাবি পূরণ না হলে ঘরে ফিরবে না ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ২৩:৪৩

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে মহাসমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রজন্মদের সমন্বিত সংগঠন ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’। সমাবেশ শেষে তারা ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে ৩০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর নিকট সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি পেশ করা হবে বলে কর্মসূচি থেকে জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘মুক্তিযুদ্ধ চত্বরে’ আয়োজিত মহাসমাবেশে এই ঘোষণা দেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

দিনব্যাপী সমাবেশে বক্তব্য দেন- ঢাকার বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা মক্তিযুদ্ধ কমান্ডাররা।

বিকালে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘যারা মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল, শহীদ মিনার ভেঙেছিল, তারা কোনোদিন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে হতে পারে না। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের পক্ষ নিয়েছেন কে? ড.কামাল এবং তার সাথে গুটি কয়েকজন। যারা জনবিচ্ছিন্ন। ড. কামাল হোসেন একজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ। তিনি নাকি তারেক রহমানের এবং বিএনপির সঙ্গে কথা বলেননি। তিনি তাদের জন্য নাকি আন্দোলন করেননি। অথচ আমরা দেখলাম, তার পেছনে তারেকের ছবি। বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তি চান। আপনি একজন আইনজ্ঞ, আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করি, এই দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার সঠিক বিচার হয়েছে কী? যদি না হয়ে থাকে, তাহলে আপনি কেন তাদের পক্ষে কথা বলেননি। আপনি কেন কোর্টে দাঁড়ালেন না? আমি মনে করি, কামাল হোসেন, আ স ম রব এবং মান্না খুনিদের পক্ষে যোগ দিয়েছেন। সুতরাং পরিষ্কার বুঝতে হবে, কামাল হোসেন কিন্তু স্বাধীনতাযুদ্ধ করেননি। তিনি ছিলেন পাকিস্তানে, শ্বশুর বাড়িতে। তখন বঙ্গবন্ধু তাকে নিয়ে এসেছিলেন এবং একজন ব্যারিস্টারকে বঙ্গবন্ধু আইনমন্ত্রী করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘কামাল হোসেন অনেক নির্বাচন করেছেন, কিন্তু একবারও জিততে পারেননি। জনগণ তাকে ভোট দেননি। আমি যদি জিজ্ঞেস করি, ড. কামাল হোসেনকে, যখন বিএনপি শ্রমিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, তখন কী গণতন্ত্র নষ্ট হয় নাই? তখন বাংলাদেশের পরিবেশ নষ্ট হয় নাই? তার জন্য আপনি কথা বলেন না কেন? তার জন্য আপনাকে জবাবদিহিতা করতে হবে। আমরা আবার মাঠে নামব এই জোটের বিরুদ্ধে, আমরা মাঠে নামব রাজাকারদের বিরুদ্ধে।’

মন্ত্রী আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে লড়াই করতে হবে। সেই লড়াই হবে রাজাকার এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে।’

সমাবেশে ১১ দফা দাবি পেশ করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আহবায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘সবার পরামর্শ নিয়ে সারাদেশে আনুষ্ঠানিক আন্দোলনের পদযাত্রা শুরু হলো। যতদিন পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।’

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মঞ্চের সদস্য সচিব ওসমান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদ হোসেন মতিন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সদস্য সচিব আল মামুন প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২৫অক্টোবর/এনএইচ/এলএ/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :