‘ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে আ.লীগে একটা শঙ্কা আছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:০৯

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ নামে নতুন যে জোট হয়েছে তা নিয়ে সরকারি দলের ভেতর ভাবনা আছে বলে মনে করেন একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল। শুরুতে এই জোটকে সরকার তেমন গুরুত্ব দেয়নি। তবে এটি নির্বাচনী জোটে পরিণত হতে যাচ্ছে দেখে সরকারের ভেতর একধরনের শঙ্কা কাজ করছে বলে মনে করেন জ্যেষ্ঠ এই সাংবাদিক।

শুক্রবার মধ্যরাতে চ্যানেল আইয়ের সংবাদ পর্যালোচনা অনুষ্ঠান ‘আজকের সংবাদপত্র্র’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে যুক্তফ্রন্টকে সরকার বড় প্রতিপক্ষ মনে করছে বলে মনে হয়। শুরুতে ভেবেছিল এটা একটা রাজনৈতিক জোট হবে। কিন্তু ড. কামাল হোসেন যখন বিএনপির সঙ্গে জোট করলেন তখন সরাসরি মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে।’

‘এখন আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে এমন একটি জোটের আবরণ বিএনপি তৈরি করল যেখানের বেশিরভাগ আওয়ামী লীগেরই সাবেক নেতা। তাই এখন আওয়ামী লীগ যে বকাঝকা করছে তা আর বিএনপির ওপর নয়, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর পড়ছে।’

এই সাংবাদিক নেতা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপি জোটের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনেরও জোটবদ্ধ হওয়ায় এটা একটি শক্তিশালী অবস্থানে যেতে পারে বলে আমার ধারণা। হয়ত এটা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে শঙ্কা আছে।’

বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে- আওয়ামী লীগের এমন সিদ্ধান্তে নেতারা ভীত হবেন বলে মনে করেন না মনজুরুল আহসান বুলবুল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে যে আজীবন বহিষ্কারের কথা বলা হয়েছে এটা একটি দলের জন্য ভালো সিদ্ধান্ত। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থীদের ক্ষমা করা এটা স্থানীয় নির্বাচন থেকে শুরু হয়েছে। আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে স্থানীয় অনেক নির্বাচনে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সেখানে একজন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জিতে এসেছেন। আবার তাকে বিদ্রোহী হওয়ার জন্য বহিষ্কারও করা হয়নি। তাই এমন হুঁশিয়ারিতে সবাই ভীত হবে সেটা আমি মনে করি না।’

নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, নানা কথাবার্তা হচ্ছে আসলে কী হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি বলেছেন চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র হতে পারে, কিন্তু নির্বাচন হবে যথাসময়ে। এখন চক্রান্ত হলে সরকারকে মোকাবেলা করতে হবে। আর বিরোধী রাজনীতিকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে।’

সৌদি সাংবাদিক খাশোগি হত্যা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে এই সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, ‘সাংবাদিক খাশোগি হত্যা এটা সারাবিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। সৌদি আরবকে অন্যভাবে দেখা হলেও এতে প্রমাণ হয়েছে সেখানকার সরকার কত ভয়াবহ। সৌদি একটি উদার রাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছিল বলে প্রশংসা পেতে শুরু করেছিল। কিন্তু সেখানে তারা ভিন্নমতকে দমনের চেষ্টা করছে, যার কারণে তাদের বড় ব্যবসায়িক মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও নিন্দা জানাতে বাধ্য হয়েছে।’

এই হত্যা নিয়ে তুরস্ক সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তুরস্কের সরকারের সঙ্গে দেশটির সাংবাদিকদের সম্পর্ক তিক্ত। কিন্তু তারা খাশোগি হত্যার পর যেভাবে প্রতিবাদ করছে এটা প্রশংসার যোগ্য। তুরস্কের শক্ত অবস্থানের কারণেই সৌদি খাশোগি হত্যার কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/২৭অক্টোবর/বিইউ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :