খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার শুনানি পিছিয়ে ২৫ নভেম্বর

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৩১

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১০ মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠন ও একটি মামলায় চার্জশিট আমলে গ্রহণের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।

মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের, দারুস সালাম থানার আটটি নাশকতার ও যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে একই ঘটনার দুইটি মামলা।

রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েসের আদালত আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন।

পুরান ঢাকার বকশিবাজারের অস্থায়ী আদালতে মামলাগুলোর প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদÐপ্রাপ্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে থাকায় সময়ের আবেদন জানান তার আইনজীবীরা।

এর আগে ১১টি মামলার বিচার সদরঘাটের আদালতে হয়ে এলেও গত ৮ জানুয়ারি সরকার বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসার অস্থায়ী আদালতে হওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করে।

যাত্রাবাড়ী থানার নাশকতার দুই মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গেøারি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে নূর আলম (৬০) নামের এক দগ্ধ যাত্রী মারা যান। ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল হয়। ওই দুই মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- এম কে আনোয়ার, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ প্রমুখ।

২০১৫ সালের দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশতার অভিযোগে অপর আটটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে ওই মামলাগুলোয় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়।

২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার মন্তব্যের কারণে। এক আইনজীবীর করা মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে পুলিশ রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় রূপান্তরিত করে। পরে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, ‘তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’

(ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/জেডআর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

অরিত্রীর আত্মহত্যা: চতুর্থ বারের মতো পেছাল রায় ঘোষণার দিন, কী কারণ?

অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুননিসার ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ

বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলের সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

আত্মসমর্পণের পর ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার জামিন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :