মির্জাপুরে সরকারি জমিতে সিএনজি স্টেশন!

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সরকারি জমিতে দীর্ঘ একযুগ ধরে সিএনজি ফিলিং স্টেশন স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি জমি দখল করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সিএনজি স্টেশনের অনুমোদন নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা মূল্যের প্রায় এক একর সম্পত্তি বেহাত হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের মো. ইব্রাহিম মিয়া সরকারি জমিতে মা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অনুমোদন নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী মৌজায় এসএ ৪২৪নং দাগে ৩.১০ একর অর্পিত সম্পত্তি রয়েছে। ১৯৯৫-৯৬ সালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস সড়ক নির্মাণকালে ওই দাগে ১.৫৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে সরকার। ২০০৭ সালে মহাসড়কের বাইপাস সড়ক যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলে ইব্রাহিম মিয়া ওই দাগে মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে থাকা অবশিষ্ট জমির উপর মা সিএনজি ফিলিং স্টেশন স্থাপন করেন।

এদিকে ওই সিএনজি পাম্প দেখিয়ে ইব্রাহিম মিয়া ন্যাশনাল ব্যাংক কালিয়াকৈর শাখা ও ব্র্যাক ব্যাংক টাঙ্গাইল শাখা থেকে কয়েক কোটি টাকা ঋণও গ্রহণ করেছেন বলেও জানা গেছে।

মা সিএনজি স্টেশনের মালিক মো. ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে কথা হলে ৪২৪ দাগের ওই জমি সরকারের নয় নিজের দাবি করেন। তবে দখলকৃত জমির কাগজ দেখতে চাইলে বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

তিতাস গ্যাস ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি প্রধান কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক বরুন কুমার বলেন, লিজ বা বন্দোবস্ত ছাড়া সরকারি জমিতে কোন প্রতিষ্ঠান স্থাপনে অনুমতি পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক বলেন, প্রতারণার বিষয় প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৯অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)