প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফটোসেশন, দুই পক্ষের হাতাহাতি

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ২১:০৯

দলের দুর্দিনেও কোন্দল থামানো যাচ্ছে না বগুড়া জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই তারা প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছেন। তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের কারণেই জেলা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড কমিটির নেতাকর্মীরাও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তার প্রভাব পড়ছে দলের কর্মীদের মধ্যে।

সোমবার বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিলের সামনে দাঁড়ানো নিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বগুড়া বিএনপির দুই পক্ষ। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া রায়ের প্রতিবাদে বগুড়ায় মিছিল করেছে জেলা বিএনপি। দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করার পরপরই তা পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। পুলিশি বাধায় সেখানেই মিছিল শেষ করে নবাববাড়ী সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

তারা এই রায় বাতিল করে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন। এদিকে, বিক্ষোভ মিছিলের সামনের সারিতে দাঁড়ানো নিয়ে বাক-বিত-া, ধাক্কাধাক্কি ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে জেলা বিএনপির দুই নেতা ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে। এসময় নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে মারপিটের শিকার হয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নবাববাড়ী সড়ক এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে জেলা বিএনপি। মিছিলের শুরুতেই সামনে দাঁড়ানো নিয়ে বাক-বিত-া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে জেলা কমিটির দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন ও পরিমল চন্দ্র দাসের মধ্যে। এসময় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে তা তখনকার মতো থেমে যায়।

পরে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হতেই তাহাউদ্দিন নাহিনের ওপর চড়াও হন পরিমল চন্দ্র দাসের কর্মী সমর্থকরা। তারা নাহিনকে কার্যালয়ের সামনেই মারধর শুরু করেন। নাহিনের সমর্থকরাও এসময় মারধরে জড়িয়ে পড়েন। পরে অন্যান্য নেতা ও পুলিশের হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেয়া হয়।

তাহাউদ্দিন নাইম বলেন, আমি জেলা বিএনপির চার নম্ব^র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পোটকল হিসেবেই সামনে দাঁড়িয়েছি। এনিয়ে পরিমল চন্দ্র তাকে কিল ঘুষি মারেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সামনেই আমাকে জেমস, দুখুসহ অন্যরা মারধর করে আহত করেন।

তিনি বলেন, এ বিষয়টি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাককের কাছে অভিযোগ করেছি। জেলা বিএনপির সভাপতি বিষয়টি শুনেও না শোনার ভান করে এড়িয়ে যায়। তার অভিযোগ জেলা বিএনপির দ্বন্দ্বের জের ধরেই আমাকে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছ। তিনি এ ঘটনার জন্য হাইকমান্ডের কাছে বিচার চেয়েছেন।

জেলা বিএনপির অপর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, মিছিলে সামনে দাঁড়ানো নয় বরং সমাবেশে স্লোগান দেয়া নিয়ে তাহাউদ্দিন নাইমের সাথে দলের কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। এনিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। দলের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। তারা সকলেই এক সাথে দলের জন্য কাজ করছেন বলে তিনি দাবি করেন। এ ঘটনায় দায়ী কর্মীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, দলীয় বিষয়ের জেরে মারধরের ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৯অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :