মুক্তিযোদ্ধা হাই হত্যার দায়ে দুইজনের ফাঁসি

নরসিংদী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:২২

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বিরাজনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই হত্যার দায়ে সৎ ভাই জাকির হোসেন এবং প্রতিবেশী আমজাদ হোসেনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অপর আসামি আব্দুল মান্নানকে দিয়েছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন অপর তিন আসামি মো. শাহিন, জাহাঙ্গীর আলম ও রফিক।

জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ওই মামলায় মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. মনির কামাল এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনেরা। নিহতের ছোট ভাই আব্দুল হক মিয়া বলেন, ‘ওই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড শাহিন। কিন্তু তিনি খালাস পেয়েছেন। অস্ত্র মামলায় শাহিনের ১০ বছরের সাজা হলেও এই মামলায় তিনি খালাস পেলেন। আমার ভাইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে শিবপুর থানা পুলিশ তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে তিনি ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন।’

এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানান আব্দুল হক মিয়া।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ রাত ৯টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই বিরাজনগর বাজার থেকে নিজ এলাকার শিশু মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এলিট মেহেদীর বাগানবাড়ির সামনে পৌঁছালে পৈত্রিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আব্দুল হাইয়ের সৎ ভাই জাকির হোসেন আমজাদ, মান্নান, শাহীন, জাহাঙ্গীর ও রফিককে নিয়ে ধারালো চাপাতি ও ছোড়া দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত ও জখম করেন। শিশু মিয়া ও নিহতের চিৎকারে লোকজন চলে এলে তারা পালিয়ে যান।

আব্দুল হাইকে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি মারা যান।

ওই ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে রিমন মিয়া শিবপুর থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ আসামি আমজাদকে গ্রেপ্তার করার পর তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গত বছরের ২২ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ মিজানুর ইসলাম। একই বছরের ২৮ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে ট্রাইব্যুনাল চার্জশিটভূক্ত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মাহবুবুর রহমান। তাকে সহযোগিতা করেন মেহেদী হাসান ও আবু হানিফ। আসামিপক্ষে ছিলেন গোলাম মোস্তফা খান ও আফানুর রহমান রুবেল।

(ঢাকাটাইমস/৩০অক্টোবর/প্রতিনিধি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :