ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার মইনুল

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৪২
গ্রেপ্তারের পর মইনুল হোসেন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মাদ আসাদুজ্জামান নুর এ আদেশ দেন।

আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সদস্য সুমনা আক্তার লিলির করা মানহানির মামলায় কারাগারে থাকা মইনুলকে গ্রেপ্তার দেখাতে বুধবার আবেদন করেছিলেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই জিয়াউল ইসলাম।

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলায় গত ২৪ অক্টোবর সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেছিলেন সুমনা আক্তার লিলি। ওইদিন বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য গুলশান থানাকে নির্দেশ দেন।

মামলায় বাদীর অভিযোগ, আসামি মইনুল হোসেন গত ১৬ অক্টোবর ৭১ টেলিভিশনের লাইভ টেলিকনফারেন্সে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলেন। সেখানেই তিনি থেমে থাকেননি। এরপর তিনি গত ১৮ অক্টোবর ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলেছেন, শুধু তিনি চরিত্রহীন বলছেন না, আরো অনেক মানুষ তাকে চরিত্রহীন বলছেন। সর্বশেষ তিনি ‘দি নিউনেশন’ পত্রিকার সাবেক সাংবাদিক রব মজুমদারের সঙ্গে টেলিফোনে ওই সাংবাদিক সম্পর্কে একাধিকবার বাজে মেয়ে বলে সম্বোধন করেছেন। তার এসব বক্তব্য দেশের সমস্ত ইলেকট্রনিক্স, অনলাইন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। মইনুলের ওই বক্তব্যে শুধু সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির মানহানি ঘটে নাই, একজন নারী হিসেবে বাদিনীরও মানহানি ঘটেছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২) ও ২৯(২) ধারার অপরাধ।

আইনের ২৫ (১) ধারা অনুযায়ী মিথ্যা তথ্য উপাত্ত ওয়েবসাইট ও অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ করলে ২৫ (২) ধারা অনুযায়ী ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে।

অন্যদিকে ২৯ (১) ধারা অনুযায়ী দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারার মানহানিকর তথ্য যদি কেউ দ্বিতীয়বার প্রকাশ করলে ২৯ (২) ধারা অনুযায়ী ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। দুইটি ধারার মধ্যে ২৯ (২) ধারার একই আইনের ৫৩ (ঘ) অনুযায়ী জামিন অযোগ্য।

উল্লেখ, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলা নিয়ে মানহানির অভিযোগে এর আগে ১০টির বেশি মামলা হয়েছে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে। যার মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রথম মামলাও রয়েছে। অপর মামলাগুলোর মধ্যে মাসুদা ভাট্টি নিজে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি মামলা করেছেন। রংপুরে হওয়া একটি মামলায় মইনুল হোসেনকে ২২ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পর গত ২৩ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।

ঢাকাটাইমস/১নভেম্বর/আরজে/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :