গোপালগঞ্জে রেল চলাচল শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক,গোপালগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর ২০১৮, ২০:২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ-কাশিয়ানী ৪৪ কিলোমিটার রেল লাইনের উদ্বোধন করেছেন। ১২৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই রেল লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।

রেল লাইন উদ্বোধনের পর দুপুর পৌনে দুইটায় গোপালগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী ‘টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস’ নামে একটি ট্রেন গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে যায়। আর সেই সাথে গোপালগঞ্জবাসীর দীর্ঘ প্রতিক্ষার সমাপ্তি ঘটে।

গোপালগঞ্জে রেল লাইন হবে আর রেলে চড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করবে এ যেন জেলাবাসীর কল্পনারও অতীত ছিল। কিন্তু সেটি সম্ভব করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জে ১২৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪৪ কিলোমিটার রেলওয়ের কাজ সম্পন্ন হয় বেশ কিছুদিন আগেই। শুধু প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিল।

দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ও তমা গ্রুপ ২০১৫ সালের নভেম্বরে কাজ শুরু করে। গতমাসেই তারা তাদের কাজ শেষ করে রেল চলাচলের উপযোগী করে। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর বয়রা পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার রেল লাইন সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

নিম্নাঞ্চল হিসাবে খ্যাত গোপালগঞ্জ জেলা সদরে রেল লাইন নির্মাণ হওয়ায় গোপালগঞ্জবাসী খুবই আনন্দিত। তারা এখন স্বল্প খরচে এবং নিরাপদ ভ্রমণ করতে পারবেন, যেতে পারবেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। সেই সাথে সুযোগ হবে ব্যবসা বাণিজ্যেরও। গোপালগঞ্জের উৎপাদিত পন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করাও সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাড়ারগাতি গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক পবিত্র বিশ্বাস বলেন, রেল লাইনটি এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। গোপালগঞ্জে বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রচুর পরিমাণে সবজি ও কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়। পরিবহনের অভাবে স্থানীয় বাজারে কম মূল্যে তাদের বিক্রি করতে হয়। এখন কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল শুধু এলাকায় নয়, রেলের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে কম খরচে পরিবহন করতে পারবে। সেই সাথে এ জেলার মানুষ নিরাপদে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবে। এই কারণে সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানাই।

রেল গাড়িতে প্রথম ভ্রমণকারী লতা বেগম, ফিরোজ মোল্লা, মোস্তাকিম হোসেন, সন্দীপ বিশ্বাস, মো. হাদিউজ্জামানসহ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা এই প্রথম রেল গাড়িতে ভ্রমণ করলাম। আগে শুধু শুনেছি, রেল ভ্রমণ আরামদায়ক আজ তা অনুভব করলাম। আমাদের রেলে চড়ার সুযোগ করে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানাই। তিনি যেন দীর্ঘায়ু লাভ করেন।

রেলওয়ে পশ্চিম জোনের প্রধান প্রকৌশলী মো. রমজান আলী বলেন, গোপালগঞ্জ-রাজশাহী রেল চলাচল শুরু হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের অনেক সুবিধা হবে। এলাকার মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

রেলওয়ে পশ্চিম জোনের জেনারেল ম্যানেজার মো. মজিবর রহমান ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, রেলওয়ে চালু হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে। মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। সারাদেশের সাথে একটা নেটওর্য়ার্ক তৈরি হলো আজ থেকে। পদ্মসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে এখানকার মানুষ সল্প খরচে ঢাকা যাতায়াত করতে পারবেন।

(ঢাকাটাইমস/১নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :