মা হারালেন নির্মাতা রফিক শিকদার

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০১৮, ২১:১৫ | প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৩২

না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রফিক শিকদারের মা রওশন আরা। বুধবার রাত ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের অবহেলার কারণে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নির্মাতা।

নিজের ফেসবুক থেকে একটা পোস্ট দিয়ে রফিক শিকদার লিখেছেন,‌ ‘পাষাণ ডাক্তারের নির্মমতার কাছে জীবনযুদ্ধে হেরে গেছেন আমার মা। আমাদের ছয় ভাই বোনকে বিচারহীনতার নরকে ফেলে রেখে অভিমানে এইমাত্র তিনি ওপারে চলে গেলেন।’

সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে ভুল চিকিৎসায় নিজের মায়ের দুটি কিডনি হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেন পরিচালক রফিক শিকদার। তার অভিযোগ, মায়ের একটি কিডনিতে অপারেশন করতে গিয়ে ভালো কিডনিও কেটে ফেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক।

তার দাবি, চিকিৎসক হাবিবুর রহমান লিখিতভাবে অপরাধ স্বীকার করে তাদের সঙ্গে চুক্তি করেন যে, নিজ খরচে তিনি কিডনি প্রতিস্থাপন করে দেবেন। কিন্তু তিনি কালক্ষেপণ করেছেন। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউয়ের লাইফ সাপোর্টে কোমায় ফেলে রাখেন মাকে। সেখানে মায়ের মৃত্যু হয়।

রফিক শিকদার আরও বলেন, ‘আমার মায়ের কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে আমরা তাকে ডা. হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করি। তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, মায়ের বাম কিডনিতে একটু সমস্যা আছে। তাই এই কিডনিটি ফেলে দিতে হবে। অপারেশনের পর আমরা জানতে পারি মায়ের দুটি কিডনিই কেটে ফেলা হয়েছে।’

কীভাবে জানলেন দুটি কিডনিই নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে রফিক শিকদার সাংবাদিকদের বলেন, অপারেশনের পর থেকেই মায়ের সুস্থ কিডনিটিও কাজ করছে না বলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে জানান। তাই দ্রুত তাকে আইসিইউতে নিতে হবে।

‘বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে আইসিইউ খালি না থাকায় মাকে কোনো বেসরকারি হাসপাতালে মাকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। পরে ইনসাফ বারাকা কিডনি হাপাতালের আইসিউতে মাকে ভর্তি করালে তারা কয়েকটি টেস্ট করতে দেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর ল্যাবএইড হাসপাতালে সিটিস্ক্যান করালে তারা জানায়, মায়ের মধ্যে কিডনির কোনো অস্তিত্বই নেই।’

‘এরপর ইনসাফ বারাকা কিডনি হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ফখরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের হাবিবুর রহমান দুলালের সঙ্গে কথা বলেন। পরে মাকে আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়।’

রফিক শিকদারের বলেন, ‘আমার মাকে যখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করি, ওই সময় সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসক মামুনের মাকেও ভর্তি করানো হয়। তার দুটি কিডনিই নষ্ট ছিল। এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ। আমি জানতে চাই তারা দুটি কিডনি কোথায় পেলেন?’

ঢাকাটাইমস/০১নভেম্বর/আরআর/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :