সেই কুলসুমকে এবার ডেকে নিলেন ইউএনও
টাঙ্গাইলে খোলা আকাশের নিচে পলিথিনের তাবুতে বসবাস করে আসা অসহায় স্বামীহারা বৃদ্ধা রেহেনা বেগমকে (কুলসুম) নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিলেন দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মত নাদিরা আখতার।
বৃহস্পতিবার বিকালে ওই বৃদ্ধাকে তার অফিসে ডেকে আনেন। তার সমস্যা সমাধানে দীর্ঘসময় কথা বলেন তিনি। পরে সরকারিভাবে ত্রিশ হাজার টাকা, স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আরও পাঁচ হাজার টাকা, আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম মল্লিকের মাধ্যমে টিন তার হাতে তুলে দেন।
দেউলী ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোশারফ বাপ্পির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাঠসহ জেলা পরিষদের সদস্য হামিম কায়েস বিপ্লবের সহযোগিতা তার থাকার ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।
ইউএনও নাদিরা আখতার বলেন, ‘আমরা খোজ খবর নিয়েছি। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না, একটি মানুষ ঘর বিহীন থাকবে না। সেখান এমনটা দুঃখজনক। বৃহস্পতিবার বিকালে কুলসুম বেগমকে ডেকে এনে তার ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমে বুধবার “পলিথিনের তাঁবুতে করুণ জীবন!” শিরোনামে একটি মানবিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর বুধবার দুপুরেই কুলসুমের পলিথিনের ঘরটি পরিদর্শনে যান দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুল ইসলাম সাচ্চু। তিনি তাৎক্ষণিক ৫ হজার টাকা কুলসুমের হাতে তুলে দেন। ভিজিডি কার্ডেরও নিশ্চয়তা দিয়ে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান।
ওইদিন বিকালে কুলসুমের তাঁবুটি পরিদর্শনে যান দেলদুয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম ফেরদৌস আহমেদ। তিনি তাৎক্ষণিক কুলসুমের নাতি আসলামকে স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করেন। স্কুল ড্রেস কেনার টাকা দেন। এবং উপবৃত্তি পাওয়ার নিশ্চয়তা দেন। কুলসুমের জন্য বিনামূল্যে সরকারি ঘরের ব্যবস্থারও নিশ্চয়তা দেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
বৃদ্ধা কুলসুম জানান, আমি দেলদুয়ার ইউএনও অফিসে গিয়েছিলাম। ম্যাডাম আমার ঘরের ব্যবস্থা করে দিতে চেয়েছেন। যাদের সহযোগিতায় তিনি পলিথিনের তাঁবুর জায়গায় ঘর পেতে যাচ্ছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
ঢাকাটাইমস/০২নভেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর