দাম কমেছে সবজির, মাছ-মাংসেও স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর ২০১৮, ২১:০৩
ফাইল ছবি

এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। চাহিদার তুলনায় যোগান বাড়ায় শীতের আগাম সবজিও কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, সেগুনবাগিচা, মতিঝিল, গোপিবাগ, মানিকনগর এলাকার পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুনের দাম প্রকারভেদে গত সপ্তাহের তুলনায় ১৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শিম ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও ৪০ থেকে ৬০ টাকায় নেমে এসেছেন বিক্রেতারা।

পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির সময়কার কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকার স্থলে ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও গাজর ১২০ টাকার স্থলে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় নেমেছে। এছাড়া প্রতি কেজি শসা ৩০ টাকা কমে ৫০ টাকা, ঢেড়স ৫ টাকা কমে ৩৫ টাকা, পটল ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা কমে ৮০ টাকা এবং বরবটি ১০ টাকা কমে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাকরোলের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬৫ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি আকারভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা এবং প্রতি পিস ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।

এছাড়া প্রতি আঁটি লাল শাক, পুঁই শাক, পালং শাকসহ নানা রকমের শাক ১০-২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এবার শীতের সবজির ভালো ফলন হয়েছে সারাদেশে। ব্যবসায়ীরা ট্রাকভর্তি সবজি নিয়ে রাজধানীতে আসছেন। ফলে মোকাম থেকে খুচরা বিক্রেতারা কম দামে সবজি কিনতে পারছেন। আর এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে খুচরা বাজারে।

তারা বলছেন, ‘বাজারে চাহিদার চেয়েও বেশি সবজি পাওয়া যাচ্ছে। ফলে দাম কমে গেছে। ক্রেতারা কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি। বেশি বিক্রি হওয়ায় আমরাও খুশি।’

খুচরা বাজারের চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৬৫-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬২-৬৫ টাকা, বি আর-২৮ ৫৫ টাকা ও পারিজা বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা দরে।

অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, বয়লার মুরগি, ডিম, গরু ও খাসির মাংস এবং মাছের দামও। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা ও আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫-৩৫ টাকায়ই স্থিতিশীল। কেজিপ্রতি বয়লার মুরগির মাংস ১৩০-১৪০ টাকা, গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা হাঁকছেন বিক্রেতারা।

শিকার ও বিপণনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রতিটি বাজারই এখন ইলিশ মাছে ভরপুর। ৬০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজিপ্রতি ৬০০-৭০০ টাকা আর পিস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকায়। এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা পিস। আর ছোট আকারের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা।

বাজারে ইলিশের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি থাকায় এর প্রভাবে সপ্তাহের ব্যবধানে অন্য মাছের দামও কিছুটা কমেছে। বাজারভেদে রুই মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৫০০ টাকা,শিং মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০-১৫০ টাকা, সঁরপুটি ১৫০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

(ঢাকা টাইমস/০২নভেম্বর/আরএ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে জনতা ব্যাংকের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :